পাতা:বৈজ্ঞানিক-জীবনী (প্রথম ভাগ).djvu/১৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

。8b* বৈজ্ঞানিক জীবনী শীতল হইলে সেই লৌহ স্থঙ্কচূর্ণ করিয়া ঘন কাপড়ে ছাকিয়৷ লইবে। সেই লৌহচূর্ণ স্কৃত ও মধুর সহিত মিশ্রিত করিয়া উপযুক্ত মাত্রায় সেবন করাইবে। এইরূপে অন্তান্ত ধাতুর যথা রঙ্গ, সীস, তাম্র, রৌপ্য ও স্ববর্ণের অয়স্কৃতি প্রয়োগ করিতে পারা যায়।” (১) এই উপায়ে ধাতুর অক্সাইড়, ক্লোরাইড, বা অক্সিক্লোরাইড প্রস্তুত হইবে। : চক্রপাণি নাগাজুনের লৌহমারণ প্রক্রিয়ার বিস্তৃত বর্ণনা দিয়াছেন, বাহুল্যভায়ে সমস্তটা উদ্ধত হইল না। স্থূলতঃ লৌহকে ত্রিফলার ও অন্তান্ত ভেষজের রসে ভাবনা দিয়া পুনঃ পুনঃ অগ্নিতে সরার মধ্যে উত্তপ্ত করিয়া মারিত লৌহ প্রস্তুত হইত। এই প্রক্রিয় স্থালীপাকবিধি, পুটপাকবিধি প্রভৃতি প্রক্রিয়াতে বিভক্ত হইয়াছে। এই প্রক্রিয়। বর্ণন কালে চক্রপাণি দুষ্টস্থানে নাগাৰ্জ্জুনের নাম করিয়াছেন যথা—“নাগাৰ্জ্জুনে মুনীন্দ্ৰঃ শশাস যল্লেীহশাস্ত্রমতিগহণমূ", "লৌহস্ত পাকমধুনা নাগাৰ্জুনশিষ্ঠমভিদখুঃ”। নাগাৰ্জ্জুনের এই লৌহমারণবিধি রসেক্সচিন্তামণিতে আমূল উদ্ধৃত হইয়াছে এবং রসেন্দ্রসারসংগ্ৰহ প্রভৃতি গ্রন্থও আংশিক ভাবে গ্রহণ করিয়াছেন। হীনধাতুকে স্বর্ণে পরিবর্তন করিবার প্রক্রিয়া । পূৰ্ব্বোদ্ধত তিব্বতীয় কিম্বদন্তী হইতে জানিতে পারা যায় যে নাগাৰ্জ্জুন হীনধাতুকে স্বর্ণে পরিবর্তন করিবার প্রক্রিয় অবগত ছিলেন। হুয়েন স্যাং যখন সপ্তম খৃষ্টাব্দীতে ভারতে (১) স্বশ্ৰত সংহিতা, উত্তরতন্ত্র, অয়স্কৃতিবিধি।