পাতা:বৈজ্ঞানিক-জীবনী (প্রথম ভাগ).djvu/১৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নাগাৰ্জুন bd') শতাব্দীতে রচিত। এই গ্রন্থে পারদ ও গন্ধক মিলিত করিয়া কজলী ও রসপল্প টিকা প্রস্তুত করিবার ব্যবস্থা আছে ৫ এবং স্বর্ণ, পারদ ও গন্ধক মিলিত করিয়t অন্ধমু্যায় লঘুপুটে পাক করিয়া স্বর্ণসন্দুর প্রস্তুত করিবার ব্যবস্থা দৃষ্ট হয়। এই শেষোক্ত সাধকেন্দ্র ভক্ষণ করিলে দিব্যুদেহ প্রাপ্ত হওয়া যায়। রসরত্নাকর নাগাৰ্জ্জুন কর্তৃক বিরচিত না হইলেও সপ্তম শতাব্দীর একখানি তান্ত্রিক গ্রন্থ হইলে সপ্তম শতাব্দীতে কজ্জলী, রসপপটিকা ও স্বর্ণসিন্দুর আবিষ্কৃত ও ঔষধাৰ্থে ব্যবহৃত হইত বলিয়া আমরা ধরিয়া লইতে পারি। রসরত্নাকরের পর বৃন্দের সিদ্ধযোগে একভাগ গন্ধক ও অৰ্দ্ধভাগ পারদ মিশ্রিত করিয়া “রসামৃতচূর্ণ” প্রস্তুত করিবার বিধি আছে। বৃন্দ চক্রপাণির পূর্ববর্তী কিন্তু অধ্যাপক রায় মহাশয় লিখিয়াছেন যে সিদ্ধযোগের একখানি সংস্করণে “রসামৃতচুর্ণের” উল্লেখ পান নাই, কেবল কাশ্মীর হইতে আনীত পাণ্ডুলিপিতে পাইয়াছেন । বৃন্দের পর চক্রপাণি একভাগ পারদ ও একভাগ গন্ধক মিলিত করিয়া কজলী প্রস্তত করিয়াছেন এবং তাহা গলাইয়ী রসপপটী প্রস্তুত করিয়াছেন। এই প্রস্তুত প্রণালী অনেকটা রসরত্নাকরে

  • স্বতকস্য পলং গৃহং তুর্থাংশংসাত্তকং বিবা। তৎসম গন্ধকং শুদ্ধং চুর্ণংকৃত্ব বিশিক্ষিপেং। কৃত্বা কজ্জলিকামাদে পলং দ্বত্ব চ গন্ধকং। স্তুতপক্কঞ্চ তচ& পচেদীরসভাজনে ॥ স্বাবস্থাৰত্নমায়াতি তৎক্ষণাৎ তং বিনিক্ষিপেৎ । পুটে বা কদলীপত্রে সিদ্ধং পল্পটিকারসমূ।