পাতা:বৈজ্ঞানিক-জীবনী (প্রথম ভাগ).djvu/১৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আর্য্যভট্ট 36.సి করিয়াছিলেন। পাঠকবর্গের কৌতুহল চরিতার্থ করিবার জন্ত নিম্নে কতকগুলির নমুনা প্রদত্ত হইল – (ক) যদি পৃথিবীই ঘোরে তবে পক্ষীরা উড়িয়া গিয়া আবার নিজেদের বাসায় ফিরিয়া আইসে কি প্রকারে ? (থ) পৃথিবী ঘুরিলে বাণ উদ্ধে নিক্ষিপ্ত হইলে উহা স্বস্থানে ফিরিষ্ঠ আসিত না, কারণ বাণের পতনকালের মধ্যে পৃথিবী অনেকটা পূৰ্ব্বদিকে সরিয়া যাইবে। (গ) পৃথিবী ঘুরিলে আমরা মেঘকে কখনও পূৰ্ব্বদিকে যাইতে দেখিতাম না । (ঘ) যদি স্বীকার করি যে পৃথিবী আস্তে আস্তে চলিতেছে, তাহা হইলে আর্যভট্টের মতে উহা একদিনে একবার কিরূপে ঘুরিয়া আসে? শ্ৰীপতি, ব্রহ্মগুপ্ত, বরাহ প্রভৃতি সকলেই এইরূপ আপত্তি উত্থাপিত করিয়া পৃথিবীর আবর্তনবাদ খণ্ডন করিতে চেষ্টা পাইয়াছিলেন। ইউরোপে পঞ্চদশ খৃষ্টাব্দে যখন কোপানিকাস ভূভ্রমণবাদ পুনঃপ্রচারিত করেন তখনও এইরূপ যুক্তির দ্বার র্তাহার মতও প্রথমে অগ্রাহ হইয়াছিল। সুপ্রসিদ্ধ জ্যোতিষী টাইকোত্ৰাহি লল্লের স্তায় বুঝিতে পারেন নাই কেন উদ্ধে নিক্ষিপ্ত গোলাকে পশ্চিমদিকে পড়িতে দেখা যায় না। পাঠক দেখিতে পাইতেছেন এক কথায় এই সকল প্রশ্নের মীমাংসা হইতে পারে। আশ্চর্য্যের বিষয় পৃথিবীর সহিত বায়ুমণ্ডলও ঘুরিতেছে—এই একটা বিষয় কাহারও মাথায় প্রবেশ করে নাই ; করিলে এই সকল আপত্তি আদেী উত্থাপিত হইতে পারিত না। পাঠক বুঝিতে পারিতেছেন পৃথিবীর সহিত বায়ুমণ্ডলও