পাতা:বৈজ্ঞানিক-জীবনী (প্রথম ভাগ).djvu/১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈজ্ঞানিক জীবনী y হইতে পাঠোদ্ধার করিয়াছেন। সুশ্রুতের টীকাকার চক্রপাণি মুকুত সংহিতার টাকায় পেস্কলাবতন্ত্ৰ হইতে পাঠ উদ্ধত করিয়া ছেন। চক্রপাণি একাদশ খ্ৰীষ্টাব্দের আয়ুৰ্ব্বেদকার, শিবদাস র্তাহারও পরে, অতএব দ্বাদশ ও ত্রয়োদশ শতাব্দীতেও এই সকল তন্ত্র প্রচলিত ছিল। সুশ্রতের আবির্ভাবকাল সঠিক নির্ণীত হয় নাই। “সুশ্রতেন প্রোক্তং সোশ্রতং” এই বার্টিকস্থত্র তত্ত্বধায়ী সুশ্রুত খ্ৰীষ্ট পূৰ্ব্ব চতুর্থ শতাব্দী পূৰ্ব্বে প্রাপ্তভূর্ত ছিলেন বলিয়া জানা যায়। নবাবিষ্কৃত বাউয়ার পাণ্ডুলিপি পাঠে জানা যায় যে চতুর্থ খ্ৰীষ্টাব্দের মধ্যে মুশ্রুত অতি প্রাচীন আয়ুৰ্ব্বেদকার বলিয়া পরিগণিত হইয়াছিলেন। আধুনিক সুশ্ৰুতসংহিতা দ্বিতীয় খ্ৰীষ্টাব্দে বৌদ্ধ নাগাৰ্জ্জুন কর্তৃক প্রতিসংস্কৃত প্রাচীন সুশ্ৰুতসংহিতা টীকাকার ডল্পনাচার্যের মতে নাগাৰ্জ্জুন সুশ্ৰুতসংহিতার উত্তরতন্ত্রের রচয়িত। সুশ্রতের পর কয়েক শতাব্দী শলাবিদ্যা সঙ্গীল ছিল। বাগভটের (তৃতীয় শতাব্দী) সময় শল্যবিদ্যা যে বিদ্যমান ছিল তাহা তাহার অষ্টাঙ্গ পাঠে বেশ হৃদয়ঙ্গম কর যায়। কিন্তু বাগভটের পর হইতে ক্রমশঃ অঙ্গবিনিশ্চয়বিদ্যা ও শল্যবিদ্যার অবনতি ঘটিতে থাকে। ইহার কারণ প্রধানতঃ দুইটি বলিয়া মনে হয় : প্রথম--বৌদ্ধধৰ্ম্মের বিস্তৃতির সহিত ভারতে স্বাধীন চিন্তার উন্নতি বহুলপরিমাণে সাধিত হইলেও “অহিংসা পরনোধৰ্ম্ম” এই নৈতিক বাক্য শবব্যবচ্ছেদের বিরোধী হইয়া দাড়াইয়াছিল, সেই জন্ত কায়চিকিৎসা বিশেষতঃ তান্ত্রিকচিকিৎসাপদ্ধতির বহুল উন্নতি সাধিত হইলেও বৌদ্ধযুগে অস্ত্রচিকিৎসা বড়ই অনাদৃত হইতে চলিয়াছিল।