পাতা:বৈজ্ঞানিক-জীবনী (প্রথম ভাগ).djvu/২০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৯২ বৈজ্ঞানিক জীবনী বৎসইারা গাভীর করুণ রোদন যিনি শুনিয়াছেন তিনি একথা অস্বীকার করিবেন না। অমুকরণ করিবার প্রবৃত্তি ও ক্ষমতা অনেক পশুতে দৃষ্ট হয়। ময়না বা কাকাতুয়া “রাধাকৃষ্ণ” পড়ে, বানরে সাষ্টাঙ্গে সেলাম করে, বিবিধ জস্তুতে বিবিধ মানবোচিত ক্রীড়া প্রদর্শন করে। পশুদের যে চিন্তা করিবার ক্ষমতা আছে তাহারও প্রমাণ পাওয়া যায়। চিড়িয়াখানায় হাতীর নিকট কোনও জিনিস ফেলিয়া দিলে উহ! শুড়ের দ্বারা না পাইলে জিনিসের অপর পারে বায়ুনিঃসরণ করিতে থাকে যাহাতে বায়ুর দ্বারা তাড়িত হইয়া জিনিসটা তাহার আয়ত্তে আইসে । একজন সাহেব ভায়েনা সহরে দেখিয়াছিলেন যে, একটি ভল্লুক নিকটবৰ্ত্ত জলে একটুকরা রুটি ভাসিতে দেখিয় তাহ পাইবার জন্ত থাবা দিয়া একটি ছোট নালা কাটিয়া জল ও তাহার সঙ্গে রুটির টুকরাও নিকটে আনয়ন করিয়াছিল। ডারুইন জীবজন্তুদিগের এইরূপ বুদ্ধিবৃত্তির অস্তিত্ত্ব সম্বন্ধে বিস্তর উদাহরণ দিয়াছেন। বানর জাতির বুদ্ধিবৃত্তি মানবের বুদ্ধিবৃত্তির অতি নিকট। অনেকে মনে করেন, মানুষই কেবল অস্ত্রশস্ত্র ব্যবহার করে, কিন্তু ঠিক তাহা নহে। বন্ত সিম্পাঞ্জি পাথরের দ্বারা ফল ভাঙ্গিয় তাহীর ভিতরের শাস খায়। রেংগার নামক এক সাহেব একটি বানরকে এইরূপ শক্ত কঁচা তাল ভাঙ্গিয় তাহার রস খাইতে শিখাইয়াছিলেন। হাতীরা গাছের ভাল ভাঙ্গিয়া মাছি তাড়াইতে থাকে। একবার এবিসিনিয়া দেশে একটি পাৰ্ব্বত্য পথে কোবার্গ গোথার ডিউকের সহচরেরা পৰ্ব্বতের উপরিস্থিত একদল বানরের