পাতা:বৈজ্ঞানিক-জীবনী (প্রথম ভাগ).djvu/২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ਕ੍ਰਾਂ গিয়াঁছেন যে “১৭৫টি রক্তবাহিনী শিরার দ্বারা রক্ত সমগ্র দেঙ্গে চলাচল করিতেছে। এই সকল শিরা যকৃৎ ও প্লীহা ইষ্টতে উদগত হইয়া সমগ্র শরীরে ব্যাপ্ত হইরা আছে। শোণিত প্রকৃতিস্থ অবস্থায় যতক্ষণ স্বীয় শিরামধ্যে বিচরণ করে (circulates ) ততক্ষণ ধাতুসমূদায়ের পূরণ, বর্ণের উজ্জ্বলতা, স্পৰ্শজ্ঞানের তীক্ষত এবং অন্যান্ত নানাপ্রকার গুণ উৎপন্ন হয়। কিন্তু সেই রক্ত দৃতি ইষ্টলে, রক্তজন্ত নানাপ্রকার পীড় জন্মে।” রক্তের গতির বৈজ্ঞানিক বাথিাকারী বলিয়া হার্ভের নাম গৌরবান্বিত, কিন্তু রক্তের গতির আবিষ্কার প্রথমে ভারতে হইয়াছিল এ গৌরব ভারতবাসী নিঃসন্দেহে করিতে পারেন। ভারতীয় অস্ত্রচিকিৎসার প্রাধান্ত । দুই এক পৃষ্ঠার মধ্যে মুশ্রত্যেক্ত অস্ত্রচিকিৎসার সনাক বিবরণ প্রদান করা সম্ভবপর নহে, তবে সুশ্রুতের সময় অস্ত্রচিকিৎসা কিরূপ উন্নত ছিল তাহার আভাযমাত্র পাঠককে প্রদান করাই লেখকের উদ্যে। রামায়ণ ও মহাভারতে দেখিতে পাই যে উপযুক্ত অস্ত্র চিকিৎসকগণ সেনাসলভিবাহারে যুদ্ধক্ষেত্রে অগ্রসর হইতেছেন। রাবণের সহিত যুদ্ধে রামের সৈন্তবর্গের অস্ত্রচিকিৎসকরূপে স্থশেন রানের সহিত লঙ্কায় গিয়াছিলেন। মহাভারতের উযোগ পৰ্ব্বে দখিতে পাই যুধিষ্ঠির ও দুর্য্যোধন উভয়েই অস্ত্র চিকিৎসক ও অস্ত্রচিকিৎসার উপযুক্ত বন্ধনী (bandage), ঔযধাদি সংগ্ৰহ করিতেছেন। পঞ্চপাণ্ডবের অন্ততম নকুল অস্ত্রচিকিৎসাবিজ্ঞানে পারদর্শী ছিলেন। গে, অশ্ব, হস্তী প্রভৃতির অস্ত্রচিকিৎসা প্রাচীন ভারতে অজ্ঞাত ছিল না। যে সকল ইউরোপীয় পণ্ডিত সংস্কৃতভাষা ও ভারতের