পাতা:বৈজ্ঞানিক-জীবনী (প্রথম ভাগ).djvu/৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ । গেলিলিও । ভারতে যত বিভিন্ন ধৰ্ম্মসম্প্রদায় আছে--এমন বোধ হয় আর কোনও দেশে নাই। শাক্ত, শৈব, বৈষ্ণব, গাণপত্য প্রভৃতি বিভিন্ন সম্প্রদায়ের পার্থক্য ও বিবাদ পুরাণাদি পাঠে বেশ হৃদয়ঙ্গম কর যায়। এককালে হিন্দু ও বৌদ্ধধৰ্ম্মের সংঘর্ষে ভারতে ঘোরতর ধৰ্ম্মবিপ্লব সংঘটিত হইয়াছিল। কিন্তু এই সম্প্রদায়পীড়িত ভারতে ইউরোপের লোমহর্ষণ ধৰ্ম্মবিপ্লবের সাদৃশ্ব মিলিবে না। মধ্যযুগে রোমান ক্যাথলিক ও প্রোটেষ্টাণ্টদিগের মধ্যে ধৰ্ম্মের নামে নরকের যে দৃষ্ঠ অভিনীত হইয়াছিল তাহার স্মৃতি এখনও সভ্যসমাজকে লজ্জা দিতেছে। ধৰ্ম্মের নামে, ভগবানের নামে শত শত নরনারীকে জীবন্ত অবস্থায় প্রজ্জ্বলিত হুতাশনে নৃশংসভাবে হত্যা করিতে বিপক্ষপক্ষীয় ধৰ্ম্মসম্প্রদায় বিন্দুমাত্র কুষ্ঠিত হন নাই। ধৰ্ম্মের কথা দূরে থাকুক, চিরশান্তশীতল বিজ্ঞানত্তর ছায়াশ্রিত মুখী ব্যক্তিকেও মধ্যযুগের ইউরোপ নিপীড়িত করিতে দ্বিধা বোধ করে নাই। পঞ্চদশ খৃষ্টাব্দে কোপাণিকাস প্রচার করিলেন যে পৃথিবী সচল, ফুৰ্য্যের উদয় ও অস্তগমন হুর্য্যের গতির নির্দেশক নহে, পরন্তু পৃথিবীর ভ্রমণ জন্ত সংঘটিত হইয়া থাকে তাহার পূৰ্ব্বে সকলের বিশ্বাম ছিল যে পৃথিবীই জগতের কেন্দ্রস্থল, এবং স্বৰ্য্য