পাতা:বৈজ্ঞানিক-জীবনী (প্রথম ভাগ).djvu/৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S9 বৈজ্ঞানিক জীবনী করিতেছে। গেলিলিও একদিন গির্জায় আরাধনা করিতে গিয়াছেন, গির্জার কড়িকাষ্ঠ হইতে যে বড় আলোকাধার ঝুলিতেছিল তাহার প্রতি তাহার দৃষ্টি পড়ে। আলো সবেমাত্র জালা হইয়াছে এবং তখনও ল্যাম্পট জুলিতেছিল। গেলিলিও এক হস্তের দ্বারা অপর হস্তের নাড়ীর স্পন্ন গুণিতে লাগিলেন এবং সেই সময়ে ল্যাম্পট কত সময়ে একবার দোলে তাহাওঁ দেখিতে লাগিলেন। এইরূপে তিনি দেখিতে পাইলেন যে ল্যাম্পট প্রথমে জোরে, ক্রমে আস্তে আস্তে দুলিতে লাগিল বটে, কিন্তু দেখা গেল, জোরেই হউক আর আস্তেই হউক ল্যাম্পটা ঠিক সমপরিমাণ সময়েই এক দিক হইতে অপর দিকে যাইতেছে। নাড়ীর স্পন্দন গুণিয়া তিনি সময় নিৰ্দ্ধারণ করিতেছিলেন। তিনি বাট আসিয়া একগাছি দড়িতে একটা ভারী জিনিস বাধিয়া দোলাইতে লাগিলেন এবং গির্জায় যাহা পরীক্ষা করিয়াছিলেন তাত সপ্রমাণ করিলেন। এইরূপে পেণ্ডুলামের সমগতিত্ব (iscchronism) আবিষ্কৃত হইলে প্রথমে উহা ঘড়ির নিন্মাণকল্পে ব্যবহৃত হয় নাই, প্রথম প্রথম নাড়ীর স্পন্দনের গতি নির্ণয়কল্পে ব্যবহৃত হইত ; পরে হিউজেন্স উহা ঘড়ির নিৰ্ম্মাণকল্পে ব্যবহার করেন। পতনশীল দ্রেব্যের গতির নিয়ম আবিষ্কার । আপনাকে একটা প্রশ্ন করি, তাহার উত্তর বলুন ত। একটা দশসেরা আর একটা একসের ওজন লইয়। কলিকাতার মনুমেণ্টের উপর হইতে দুইটাকে এক সময়ে ছাড়িয়া দিলাম। বলুন দেখি কোনটা কোন সময়ে নীচে পছছিবে। আপনি যদি গেলিলিওর জীবনবৃত্তান্ত পাঠ না করিয়া থাকেন তাহা