পাতা:বৈজ্ঞানিক-জীবনী (প্রথম ভাগ).djvu/৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩২ বৈজ্ঞানিক জীবনী উৎপাটত করিবেষ্ট করিবে, উছার জন্মদাতা অমুক বলিয় তাহার । মুখাপেক্ষ করিয়া থাকিবে না। বিজ্ঞান সত্যের উপর প্রতিষ্ঠত, উহার সেবকের সত্যের মহিমায় দীপ্ত হইয়। পৃথিবীর অত্যাচারকে তুচ্ছঙ্গান করিয়া থাকে। তাই দেখিতে পাই কোপাণিকাস, টাইকে, ব্রুনে, কেপলার, গেলিলিও লোকলজ্জ ও উপহাসকে ভয় না করিয়া অকুতোভয়ে বিজ্ঞানের মহিমা ঘোষণা করিয়াছিলেন । কিন্তু কোপার্ণিকাসের পর কত শতাব্দী চলিয়া গিয়াছে, কত অভিজ্ঞতা পুথিবী অর্জন করিয়াছে, এখনও কি এষ্ট প্রাচীনের প্রতি অহেতুকী ভক্তি গিয়াছে ? সেদিন যখন চালর্স ডারউইন মানবের ক্রমবিবৰ্ত্তনের সংবাদ প্রচার করেন তখনও তাহাকে খ্ৰীষ্টধৰ্ম্মদ্বেষী বলিতে অনেকে বিরক্ত হন নাই। আমাদের দেশেও কত অসত্য প্রাচীনত্বের দাবী করিয়া অবাধে চলিয়। যাইতেছে। বদি কেহ বলেন যে, “স্বর্ণঘটিত মকরধ্বজ” সোণার পাথরবাটীর মত একটি অবাস্তব পদার্থ, তাহ হইলে তাঙ্গার উক্তি “তাণ্ডবনৃত্য” বলিয়া পরিচিত করিবার লোকের অভায নাই। প্রাচীনের প্রতি সম্মান করিব, কিন্তু উহা প্রাচীন বলিয়াই অভ্রান্ত, একথা স্বীকার করিয়া লইব না- এই শিক্ষা আমরা কোপাণিকাস ও গেলিলিওর জীবনচরিত হইতে শিক্ষা লাভ করিতে পারি পূৰ্ব্বেই বলা হইয়াছে যে, কোপাণিকাসের মতের পোষকতা করিবার জন্ত গেলিলিও প্রমাণ সংগ্ৰহ করিতেছিলেন। এতদিন কোপাণিকাসের মত অনেকটা অনুমানের উপর নির্ভর করিতেছিল। গেলিলিও দূরবীক্ষণ যন্ত্র আবিষ্কার করিয়া উহার চাক্ষুস প্রমাণ সংগ্ৰহ করিতে সমর্থ হইয়াছিলেন। দূরবীক্ষণের আবিষ্কার