পাতা:বৈজ্ঞানিক-জীবনী (প্রথম ভাগ).djvu/৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

w)8 বৈজ্ঞানিক জীবনী এক মুখে একখানি নতোদর (concave) লেন্স বসাইয়া, তাহার ভিতর দিয়া সোৎসুকনেত্রে চারিদিক দেখিতে লাগিলেন। তিনি যাহা খুজিতেছিলেন তাহাই পাইলেন। র্তাহার যন্ত্রে দূরের জিনিস খুব নিকটস্থ ও তিনগুণ বৃহৎ দেখাইতে লাগিল। উপরন্তু চশমা বিক্রেতার খেলানার ন্তায় ইহাতে পদার্থ সকল উলটা ন দেখাইয়া সবই সোজা দেখাইতেছিল। তখন র্তাহার আনন্দ আর ধরে না। বাস্তবিক কোন বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার করার পর মনে কত আনন্দের উদয় হয়, ভুক্তভোগী ভিন্ন কেহ তাহা অনুভব করিতে পারে না। অনেক সময়ে অনেককে হাসিতে. নাচিতে, এমন কি আনন্দে ক্ষণিক অপ্রকৃতিস্থ হইতে শুনা যায়। আর্কিমিডিসের বিষয় কথিত আছে যে তিনি স্নানাগারে স্নান করিতেছিলেন, এমন সময়ে হঠাৎ একটা কল্পিত বিষয়ের মীমাংসা মনে উদয় হওয়াতে তিনি এমনই দিক্‌বিদিক জ্ঞানশূন্ত হইয়া পড়িয়াছিলেন যে সম্পূর্ণ উলঙ্গ অবস্থায় প্রকাষ্ঠ রাজপথ দিয়া “আমি পাইয়াছি । আমি পাষ্টয়াছি!” এই বলিতে বলিতে দৌড়াইয়া বাটী পহুছিয়াছিলেন। গেলিলিও এই অদ্ভুত যন্ত্র লইয়া তাড়াতাড়ি ভেনিস নগরে চলিয়া গেলেন এবং সেখানে যাবতীয় সন্ত্রান্ত ব্যক্তিদিগকে দেখাইয় আশ্চর্যান্বিত করিতে লাগিলেন। প্রবীণ বৃদ্ধের পর্য্যন্ত যষ্টিতে ভর করিয়া উচ্চস্থানে উঠিয়া এই যন্ত্রের ভিতর দিয়া সুদূরস্থ জাহাজ সকল নিকটস্থ দেখিয়া আনন্দ বোধ করিতে লাগিলেন। চারিদিকে তাহার নাম ব্যক্ত হইয়া পড়িল । “বিদ্বান সৰ্ব্বত্র পূজ্যতে”– কিবা রাজদ্বারে, কিবা রাজবত্ত্বে সৰ্ব্বত্রই তিনি পূজা পাইলেন। কর্তৃপক্ষেরা তাহার মাহিনী