পাতা:বৈজ্ঞানিক-জীবনী (প্রথম ভাগ).djvu/৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গেলিলিও ף0א থাক, তাহাতে আপত্তি করিব না (যদিও পূর্ণচন্দ্রের ন্তায় নিটোল, চাকা থালার স্তায় মুগোল, থ্যাবড়ানো বদন কয়জন পাঠক পছন্দ করিবেন তাহা আমি জানিতে চাহি ); কিন্তু তুমি কবি, নেশার ঝোকে চন্দ্রের মধ্যস্থিত পৰ্ব্বত উপত্যকাকে শশীর কলঙ্ক, বুড়ির চরক প্রভৃতি আজগুবি ব্যাপার বলিয়া কল্পনা করিয়া বিজ্ঞানের পথ একেবারে রোধ করিয়াছ। তুমি বিচিত্র রামধনুক' বাসবের বা রামের ব্যবহৃত ধনু বলিয়া লোকসমাজে প্রচার করিয়াছ। তুমি নক্ষত্রবর্গকে মুরম্নন্দরী সাজাইয়৷ চন্দ্রকে রোহিণী প্রভৃতি সাতাইশ মুন্দরীর বহুপত্নীক স্বামী গড়িয়াছ। তোমারই বাক্য পুরাণ প্রভৃতি শাস্ত্র অভ্রান্ত বৈজ্ঞানিক ৰাখ্যা বলিয়া অবাধে গ্রহণ করিয়া লইয়াছে। এ ঘটনা শুধু ভারতেই ঘটিয়াছে তাহা নহে। সমগ্র আদিম মানবসমাজে এইরূপ কল্পনার অভাব দৃষ্ট হয় না। তাই যথন গেলিলিও তাঙ্গর যন্ত্রের সাহায্যে দেখিলেন যে পৃথিবীর ন্তায় চন্দ্রেও পৰ্ব্বত, উপত্যক, সমতলক্ষেত্র প্রভৃতি দ্রব্য বিদ্যমান রহিয়াছে তখন সে সংবাদ কেহই বিশ্বাস করিল না। তাহাও কি কখন হয় ? ঐ স্বগীয়, শান্তশীতল, সুধাময় চন্দ্ৰবদন কখনও কি পাহাড় পৰ্ব্বতে পরিপূর্ণ হইতে পারে ? তিনি আবার এই সকল পাহাড়ের উচ্চতাও মাপিয়াছিলেন—কোনও পৰ্ব্বত পাচ মাইল, কোনটি বা সাত নাইল উচ্চ। তাহার অপরাধের সংখ্যা এখনও শেষ হয় নাই তিনি প্রচার করিলেন যে যেমন চন্দ্র স্বৰ্য্যরশ্মি প্রতিফলিত করিয়া কিরণ বিতরণ করে, সেইরূপ পৃথিবীও কিরণ বিতরণ করিয়া থাকে। সকলেই তৃতীয় চতুর্থার চাদে দেখিয়া থাকিবেন যে, কাস্তের মত চাদের উজ্জল ফলার সঙ্গে চাদের