পাতা:বৈজ্ঞানিক-জীবনী (প্রথম ভাগ).djvu/৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(tર বৈজ্ঞানিক জীবনী i বিচারপতি ছিলেন। তাহাদের মধ্যে তিন জন বিচারালয়ের রায়েতে স্বাক্ষর করিতে স্বীকৃত হন নাই। অবশিষ্ট সাত জনের কলঙ্কিত লেখনীর স্বাক্ষর এখনও এই দলিলের উপর দৃষ্ট হয়। গেলিলিও এইরূপে নিগৃহীত হইয়া বাইবেল স্পর্শ করিয়া শপথ করিতে বাধ্য হইলেন “ইহা আদৌ সত্য নহে যে স্বৰ্য্য জগতের কেন্দ্র স্থল এবং পৃথিবী সচলা। আমি এত দিবস এ বিষয়ে যাহা বিশ্বাস ও ধারণা করিয়া আসিয়াছি তাহ সম্পূর্ণ অসত্য ও ধৰ্ম্মশাস্ত্রবিরুদ্ধ। আমি প্রতিজ্ঞ করিতেছি যে ভবিষ্যতে মৌখিক বা লিখিত ভাষায় কখনও এই অসত্য প্রচার করিব না।” অনেকেই বলিবেন যে গেলিলিওর এইরূপ মিথ্যা প্রতিজ্ঞায় স্বীয় রসনাকে কলঙ্কিত করা আদৌ উচিত ছিল না, বরং ব্রুনোর মত জলন্ত অগ্নিতে আত্মসমর্পণ করিয়া উৎপীড়িতের জয়মাল্য বরণ করিয়া লইলেই ভাল হইত। র্তাহাদিগের প্রতি অনুরোধ এই যে, তাহারা এই হতভাগ্য বৃদ্ধের বয়স এবং তাৎকালিক শারীরিক ও মানসিক দৌৰ্ব্বল্য বিবেচনা করিয়া একটু করুণার নেত্রে তাহার প্রতি দৃষ্টি নিক্ষেপ করেন, আর যাহারা ধৰ্ম্মের নামে মৃত্যুর ভীষণ মূৰ্ত্তির ভয় দেখাইয়া সত্যকে বলপ্রয়োগে রুদ্ধ করিয়া রাখিতে চেষ্টত ছিলেন তাহদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে যেন অভিসম্পাত প্রদান করেন। কথিত আছে যে এই প্রতিজ্ঞাপত্র পাঠ করার অব্যবহিত পরেই গেলিলিও সেইখানেই একজন বন্ধুকে চুপে চুপে বলিয়াছিলেন “তবুও উহা (পৃথিবী) সচলা”। কিন্তু এই কিম্বদন্তী সত্য বলিয়৷ বোধ হয় না, কারণ ঐ বিচারালয়ে অপর কোনও ব্যক্তির প্রবেশের অধিকার ছিল না।