পাতা:বৈজ্ঞানিক-জীবনী (প্রথম ভাগ).djvu/৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

.68 বৈজ্ঞানিক জীবনী প্রকাশ করিতে সাহসী হন নাই। র্তাহারই কোনও ছাত্র উহা হলাওদেশে লইয়া গিয়া লুক্কায়িতভাবে প্রকাশ করেন। গেলিলিও কেবল পরীক্ষামূলক জ্যোতিষের জন্মদাতা নহেন, তিনি গতিবিজ্ঞানেরও যে একজন প্রতিষ্ঠাতা তাঙ্গ এই গ্রন্থ হইতে সম্যক উপলব্ধি হয়। বিধাতা মহাপুরুষের পরীক্ষা বিপদের ভিতর দিয়াই গ্রহণ করেন। তাই দেখিতে পাই ভক্ত বালক ধ্রুবকে বিমাতার নিৰ্য্যাতনের ভিতর দিয়া তিনি পরীক্ষা করিলেন, প্ৰহলাদের ভক্তি বিষপান, অগ্নিদাহন, সমুদ্রে নিক্ষেপ প্রভৃতি যাবতীয় বিপদের মধ্যে অটুট থাকে কি না তাহাই তিনি বারবার দেখিয়া লইলেন। গেলিলিওর পরীক্ষা বুঝি এখনও সমাপ্ত হয় নাই, তাই তিনি গেলিলিওর দৃষ্টিশক্তিও কাড়িয়া লইলেন। প্রথম একটি চক্ষু ফুলিয়া উঠিল, ক্রমে উহা হইতে দৃষ্টিশক্তি অন্তৰ্হিত ইয়া গেল। শেষে দুইটি চক্ষুই অন্ধ হইয়া গেল। এই সময় তিনি নিশ্চয়ই স্বর্গগত কবি রজনীকান্তের মৰ্ম্মস্পর্শী ভাষায় ভগবানের নিকট মনে মনে প্রার্থনা করিতেন “আমায় সকল রকমে থৰ্ব্ব করেছে, গৰ্ব্ব করিতে চুর”। তিনি এই সময়ে তাহার এক বন্ধুকে লিখিয়াছিলেন, “তোমার প্রিয়বন্ধু এখন সম্পূর্ণরূপে অন্ধ। এখন হইতে এই চরাচর বিশ্ব, ঐ অনন্ত নভোমণ্ডল—যাহার সম্বন্ধে জ্ঞান আমি আমার অশ্রুতপূৰ্ব্ব আবিষ্কারের দ্বারা শতসহস্ৰগুণ বৰ্দ্ধিত করিতে সমর্থ হইয়াছি— আমার কাছে একেবারে রুদ্ধ! ইহাই যখন ভগবানের ইচ্ছ, তখন আমিও ইহাতে সন্তুষ্ট।” এই অন্ধ অবস্থায় তাহার শিষ্যবৰ্গ র্তাহার শুশ্রুষা করিত। ইংলণ্ডের মহাকবি মিণ্টন এই সময়ে ইটালী ভ্রমণ করিতে আসিয়া গেলিলিওর সহিত সাক্ষাৎ করিয়া যান।