পাতা:বৈজ্ঞানিক-জীবনী (প্রথম ভাগ).djvu/৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

98 বৈজ্ঞানিক জীবনী পরিচয় সভ্যজগত ক্রমে ক্রমে পাইতেছেন। এবিষয়ে অনুসন্ধানের ক্ষেত্র এখনও অনেক পড়িয়া রহিয়াছে। এই অনুসন্ধানের গুরুভার এতদিন পাশ্চাত্য পণ্ডিতগণের উপর ন্তস্ত ছিল, সেই ভার ক্রমে আমাদিগের নিজেদের স্কন্ধে আসিয়া পড়িতেছে। এইরূপ পরিবর্তনের ফল ভাল বই মন্দ হইতেছে না, কারণ পাশ্চাত্য পণ্ডিতগণ এই সকল বিষয়ে যতই ব্যুৎপন্ন ইউন না কেন, র্তাহাদের দৃষ্টিশক্তি, স্বাভাবিক গ্ৰীকপ্রীতি এবং ভারতবর্ষের ভাষা ও আচার সম্বন্ধে অনভিজ্ঞতা প্রযুক্ত প্রায়ই ব্যাহত হইতেছে দেখা যায়। এই সকল অনুসন্ধানের ফলে দেখা যাইতেছে যে ল্যাভোয়াসিয়ের প্রতিষ্ঠিত নব্যরসায়নের জন্মের পূৰ্ব্বে এক প্রাচীনতর রসায়ন যেমন ইউরোপ ও নিসরদেশে বর্তমান ছিল, সেইরূপ ভারতের উৰ্ব্বর ক্ষেত্রেও উহার বীজ অঙ্কুরিত হইয়া কালক্রমে বৰ্দ্ধিত, পুষ্পিত ও ফলশালী হইয়া উত্তরকালে শুকাইয় গিয়াছিল। এমন কি, অনেক বিষয়ে ভারতের রসায়ন জ্ঞান তাৎকালিক গ্রীক ও আরবীয় রসায়নজ্ঞান অপেক্ষা উন্নতিশালী ছিল। ভারতের নাগাৰ্জ্জুন, চক্ৰপাণি ইউরোপের পারাসেলসসের অনেক শতাব্দী পূৰ্ব্বে বর্তমান ছিলেন। - এই প্রাচীন রসায়নের উন্নতি দুইটি প্রধান বিষয়কে উপলক্ষ করিয়া সাধিত হইয়াছিল—একটি, চিকিৎসার জন্ত ঔষধ সংগ্ৰহ কাৰ্য্য ; অপরটি কৃত্রিম উপায়ে নিকৃষ্ট ধাতুকে স্বর্ণে পরিণত করা। ভারতে ও ইউরোপে উভয় স্থানেই এইরূপে রসায়ন শাস্ত্রের পুষ্টি সংসাধিত হইয়াছিল—তবে ভারতে চিকিৎসাই রসায়ন শাস্ত্রের মুখ্য অবলম্বন ছিল। যতদিন পর্য্যস্ত জ্ঞানের উন্নতি কল্পে রসায়ন শাঙ্কের চর্চা আরম্ভ না হইয়াছিল ততদিন উহার উন্নতি