পাতা:বৈজ্ঞানিক-জীবনী (প্রথম ভাগ).djvu/৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ჯ,ჯ) বৈজ্ঞানিক জীবনী মতে পৃথিবীর যাবতীয় দ্রব্য পঞ্চভূতের দ্বারা গঠিত এবং ਬੋੜ বিনাশ হইলে পুনরায় তাহ পঞ্চভূতে পরিণত হয় ; অর্থাৎ স্বষ্টি পঞ্চভূতের সমবায় এবং বিনাশ পঞ্চভূতে পরিণতি। এরূপ অনুমানে বস্তুর অবিনশ্বরত্ব বেশ স্পষ্টরূপে সুচিত হইয়াছে। ল্যাভোয়াসিয়ে এই অনুমানকে তুলাদণ্ডের কষ্টিপাথরে ঘসিয়া খাট পরীক্ষামূলক সত্যে পরিণত করিয়াছিলেন। পূৰ্ব্বেই রলিয়াছি প্রাচীনের তুলাদণ্ডের ব্যবহার বড় একটা শিখেন নাই,'র্তাহার যুক্তি কল্পনা ও অনুমানের সাহায্যে সত্যের সন্ধান করিতেন। বিজ্ঞান সেই সকল সত্যকে পরিমাণাত্মক পরীক্ষামূলক সত্যে পরিণত করিতে চেষ্টা করিতেছে। ল্যাভোয়াসিয়ে এই পরিমাণাত্মক বিজ্ঞানের একজন প্রধান স্থাপয়িতা ৷ বস্তুর অবিনশ্বরতা সপ্রমাণ করিবার জন্ত ল্যাভোয়াসিয়ে নিম্নলিখিত পরীক্ষণটি করিয়াছিলেন। একটি কাচনিৰ্ম্মিত বড় বকযন্ত্রে (glass retort) নির্দিষ্ট ওজনের রঙ্গ অর্থাৎ টিন বা রাং গ্রহণ করিয়া যতক্ষণ রাং গলিয়া না গিয়াছিল ততক্ষণ পৰ্য্যন্ত উহাকে বালুকাযন্ত্রে উত্তপ্ত করিয়াছিলেন। উত্তাপ বশতঃ যেটুকু বায়ু বহির্গত হইয়া গেল তিনি তাহ সংগ্ৰহ করিয়া ওজন করিলেন, তৎপরে বকযন্ত্রের সরু মুখ গলাইয়া বন্ধ করিয়া ওজন করিলেন। বদ্ধাবস্থায় বকযন্ত্রকে পুনরায় উত্তপ্ত করিতে লাগিলেন এবং ক্রমে রাং রাং-ভষ্মে পরিণত করিতে লাগিলেন। বায়ু যত বেশী থাকিবে রাংও তত বেশী পরিমাণে ভৰ্ম্মে পরিণত হইবে। যখন দেখিলেন আর রাংভস্মে পরিণত হইতেছে না তখন বকযন্ত্রকে ঠাণ্ড করিয়া পুনরায় তাহার ওজন লইলেন। দেখিলেন তাহার ওজন কমেও নাই বাড়েও নাই, ঠিকই আছে। যদিও রাং রাংভন্মে