পাতা:বৈজ্ঞানিক-জীবনী (প্রথম ভাগ).djvu/৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ল্যাভোয়াসিয়ে ᏄᏍᎩ তবে উহা বাহির হইয়া যাইলে কেমন করিয়া ধাতুভম্বের ওজন ধাতু অপেক্ষা অধিক হইরা থাকে ? তিনি ফ্রজিষ্টনবাদীদের ভ্রম দেখাইয়া দিলেন সত্য, কিন্তু তাহার নিজ মতানু্যায়ী কোন ভাল মীমাংস তিনি করিয়া উঠিতে পারিলেন না । এমন সময়ে ইংলণ্ডের তাৎকালিক অন্যতম প্রধান রাসায়নিক কেভেণ্ডিস জলের রাসায়নিকম্বরূপ নির্ণয় করিলেন। প্রাচীন গ্রীক্ষগণের মতে ক্ষিতি, অপ, তেজ ও মরুং এই চারিটি মৌলিক পদার্থের সমবায়ে পৃথিবীর যাবতীয় দ্রব্যের উৎপত্তি। প্রাচীন ভারতের মনীষীগণ এই চারি ভূত ভিন্ন ব্যোম নামক স্বক্ষতর পঞ্চম মৌলিক পদার্থের কল্পনা করিয়া গিয়াছেন। বৈজ্ঞানিকের কঠোর হস্তে পড়িয়া অজ্ঞাতকুলশীল “ব্যোম” ভিন্ন অপর চারি ভূতের ভূতত্ব ঘুচিয়া গিয়াছে। প্রিষ্টলে, কেভেণ্ডিস, সিলে, ল্যাভোয়সিয়ের গবেষণায় সাধারণ বায়ু অম্লজান ও নাইট্রোজেন নামক দুই মৌলিক পদার্থের মিশ্রণ বলিয়া সপ্রমাণিত হইয়াছে। কেভেণ্ডিস জলের যৌগিকত্ব সপ্রমাণ করিলেন। হেনরি কেভেণ্ডিস বড়ঘরের সন্তান ছিলেন–ডিউক অব ডেভনসায়ারের পৌত্র এবং লর্ড চালর্স কেভেণ্ডিসের জ্যেষ্ঠ পুত্র। তিনি ১৭৩১ খৃষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন এবং দুই বৎসর বয়সে মাতৃহীন হন। তিদি প্রথমে হেক্‌নী স্কুলে পরে কেম্বিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষালাভ করেন। তিনি কেমন এক-রকমের লোক ছিলেন, কাহারও সঙ্গে মিশিতেন না, খুব অল্পই কথাবার্তা কহিতেন এবং যদিও তিনি অনেক লিথিয়া গিয়াছেন কিন্তু এমনি তাহার নাম প্রকাশের ভীতি ছিল যে তাহার লেখা খুব অল্পই প্রকাশিত হইয়াছিল। তিনি শেষ বয়সে প্রভূত ধনশালী হইয়