পাতা:বৈজ্ঞানিক সৃষ্টিতত্ত্ব - অক্ষয়কুমার চট্টোপাধ্যায়.pdf/১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈজ্ঞানিক সৃষ্টিতত্ত্ব ৭

( nebulae) রাশির কিয়দংশ হইতে সৌরজগতের উৎপত্তি হইয়াছে। আকাশে বিক্ষিপ্ত নীহারিকারাশি কোন একটী কেন্দ্রে ঘনীভূত হইয়া সূৰ্য্য রূপে উৎপন্ন হইয়াছে ও অনবরত তাপ বিকিরণ করিতেছে। অতি দূরন্থ অন্যান্য নীহারিকা বা নেবুলা (nebula) রাশি ভিন্ন ভিন্ন কেন্দ্রে ঐ প্রকারে বিবিধ গ্রহ-নক্ষত্রাদিরূপে আকাশে প্রকাশিত হইয়াছে। স্পেকট্রস্কোপ (spectroscope) নামক যন্ত্র সাহায্য দেখা গিয়াছে, অনেক নেবুলা রাশি কতকগুলি নক্ষত্রের এক সমাবেশ অবস্থায়, আবার কতকগুলি এখনও ঘনীভূত না হইয়া তাহাদের আদি উজ্জ্বল বাষ্পময় অবস্থায় আকাশে বর্তমান আছে। ইহাদের উজ্জ্বলতার কারণ পূর্বে যে বিভিন্ন ধর্মবিশিষ্ট দুই প্রকার বৈদ্যুতিক শক্তির কথা বলা হইয়াছে এই দুই শক্তির পরস্পর সংঘর্ষ।
ভূতত্ত্ববিং পণ্ডিতগণ বলেন যে পৃথিবীর অভ্যন্তর ভাগ এখনও উত্তপ্ত তরল অথবা বাষ্পীয় আকারে আছে। ইহার উপরিভাগ হইতে অনবরত তাপ বিকীর্ণ হইয়া ক্রমশঃ শীতল হইতে আরম্ভ হইলে সঙ্কুচিত হইয়া ইহার পৃষ্ঠদেশ অসমান ও কঠিন হইয়াছে। পৃথিবী প্রথমে সূৰ্য্য হইতে উত্তাপ ও আলােক পাইয়া যে শক্তি সংগ্রহ করিয়াছিল, ঐ শক্তিই পরে উদ্ভিদ ও জীবগণের প্রাণ রূপে প্রকাশিত হইয়াছে। একই শক্তি অবস্থা ভেদে জড় পদার্থে গতি, উত্তাপ, আলােক ও রাসায়নিক শক্তি রূপে প্রকাশিত হইয়া থাকে। আবার ইহাদের কোন একটা শক্তি অবস্থা ভেদে অন্য প্রকার শক্তিতে পরিবর্তিত হয়। এই শক্তিই অবস্থা ভেদে সজীব পদার্থে অনুভব শক্তি (sensation) ভাবুকতা (emotion) ও চিন্তাশক্তি (thought) রূপে প্রকাশিত হইয়া থাকে। যেমন একই জড় পরমাণু কখনও একটী গােলাপ ফুলের আকার গ্রহণ করিতে পারে, আবার কখনও জলাশয়ে শৈবালরূপে উৎপন্ন হইতে পারে, সেই প্রকার একই জড় শক্তি কখনও