পাতা:বৈজ্ঞানিক হিন্দুধর্ম্ম প্রথম ভাগ.djvu/২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| 8 || বল, সম্মান বল, অর্থ বল, সংসারিক সুখসচ্ছন্দ তা বল, সকলই অমর। আজকাল ইংরাজিবিদ্যাপ্রভাবে অর্জন করিতে প্রয়াস পাই ! যে স্থলে এত অধিক প্রলোভন, সে স্থলে আপামর সকলেই যে সে বিষয়ে স্বতঃপ্রবৃত্ত হইবে, তাহাতে কিছুমাত্র বিচিত্ৰত নাই। অপরপক্ষে সমাজে প্রাচ্যবিদ্যার এখন কিছুমাত্র অাদর নাই। “সৰ্ব্বশূন্তাদরিদ্রতা” ইহার চিরসহচর ; সে স্থলে প্রাচ্যবিদ্যার অনুশীলনে কে মনোনিবেশ করিতে যান ? কিন্তু যদি আমরা ভারতমাতার স্বসন্তান হই এবং পূৰ্ব্বপুরুষদিগের কীৰ্ত্তিকলাপ পূর্ণভাবে বজায় রাখিতে সচেষ্ট হই, আবহমানকাল আদৃত প্রাচ্যবিজ্ঞানের সম্যক আদর ও সম্যক অনুশীলন করা অামাদের সর্বপ্রধান কৰ্ত্তব্য কৰ্ম্ম । যে আর্যজাতির পবিত্র শোণিত আমাদের শিরায় শিরায় বহমান, সেই আর্য্যজাতির কীৰ্ত্তিস্তম্ভস্বরূপ প্রাচ্যবিজ্ঞানের অনাদর করিয়া কোন কুলাঙ্গার স্বজাতি ও স্বধৰ্ম্মের সর্বনাশ করিতে ইচ্ছা করেন ? আরও দেখ, এই প্রাচ্যবিজ্ঞান প্রভাবে ভারত একদিন জগতে শ্রেষ্ঠপদ প্রাপ্ত হয়। যে সময়ে ইংরাজদিগের পূর্বপুরুষগণ বহু পশুর হায় জঙ্গলে জঙ্গলে বিচরণ করিতেন, সেই সময়ে ভারত এই বিজ্ঞান বলে প্রাচ্যজগতে সভ্যতাজ্যোতি বিকীর্ণ করে। যে প্রাচ্যবিজ্ঞানদ্বারা সমগ্র প্রাচ্যজগৎ পূর্বে এত অধিক উপক্কত, এখন সেই প্রাচ্যবিজ্ঞানের অনাদর করা কি আমাদের কৰ্ত্তব্য ? এই প্রাচ্যবিজ্ঞানই আমাদের প্রধান ও প্রকৃত গৌরবের বিষয় । এই প্রাচ্যবিজ্ঞান দেখিয়াই আমরা পূৰ্ব্বপুরুষদিগের কীৰ্ত্তিকলাপ স্মরণ করিয়া থাকি। পূৰ্ব্বপুরুষদিগের কীৰ্ত্তিকলাপ স্মরণ করতঃ কালোচিত শিক্ষাদীক্ষা প্রাপ্ত হইলে, আমরা পুনরায় পূৰ্ব্বপুরুষদিগের ন্যায় জাতীয় জীবনে উন্নতি সাধন করিতে পারিব। অতএব যে প্রাচ্যবিজ্ঞান পূৰ্ব্বপুরুষদিগের কীৰ্ত্তিকলাপ আঁমাদের মনে চিরজীগরুক করাইয়া দেয়, তাহার সম্যক অনুশীলন করা আমাদের সর্বপ্রধান কৰ্ত্তব্য কৰ্ম্ম । আরও দেখ, এই প্রাচ্যবিজ্ঞানের অস্তিত্বের সহিত হিন্দুজাতির অস্তিত্ব, হিন্দুধৰ্ম্মের অস্তিত্ব অপরিহার্যরূপে জড়িত। আমাদের রাজশক্তি গিয়াছে, ধনসম্পদ সকলই গিয়াছে, অাছে কেবল একমাত্র প্রাচ্যবিজ্ঞান বা সংস্কৃত