পাতা:বৈদিক গবেষণা.pdf/১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈদিক গবেষণা । _ E3 আদান্ত অহুইপ রচিত গ্রন্থের সহিত উহার একতা অনুমোদিত বলিয়া বোধ হয় না । বৈদিক রচনাকে অধস্তন পদ্য সকল হইতে পৃথক করিয়া শেষোক্তটা ব শ্লোক এই নাম দেওয়া হইয়াছে। ইছ। দ্বাৰা স্পষ্ট সিদ্ধান্ত হইতেছে যে বেদের অধস্তন আদ্যন্ত অম্বুষ্ট পে রচিত গ্রন্থ সমুদায়ই শ্লোক শব্দের অভিধেয় ; সুতরাং, বৈদিক গ্রন্থের কোন কোন অংশে অনুষ্টপ ছন্দের ব্যবহার থাকিলেও আমাদের মতের কিছুমাত্র বৈপরিচা ঘটতেছে না। ১২ । এই মূল বাক্য অবলম্বন করিয়া ছান্দস, মাস্ত্র, ব্রাহ্মণ ও সোত্ৰ এই চরিটা শ্রেণীতে বেদ বিভক্ত হইতে পারে । এই চারিটী বিভাগের মধ্যে ছান্দস বিভাগ উদ্ধতন অর্থাৎ ইহার অন্তর্গত সমুদায় কালই বেদ রচনার আদিকাল, আর সৌত্র বিভাগ সকলের শেষ, অর্থাৎ বেদ রচনার অন্তিমকাল। সৌজ বিভাগের রচনাকে বেদ ব্দে নির্দেশ করা যাইতে পারে না, ইহাই অথৰ্ব্ব বেদের কাল । মান্ত্র ও ব্রাহ্মণ এই দুইটী বিভাগ পূৰ্ব্বোক্ত চরম সীমান্বয়ের মধ্যবৰ্ত্তী । ১৩ । পূর্বেই বর্ণিত হইয়াছে, ঋগ্বেদ সৰ্ব্বাপেক্ষ প্রাচীন । আমাদের বিবেচনায় প্রথমে ঋক, তৎপর বজুঃ, তৎপর সাম, তৎপর অথৰ্ব্ব বেদ রচিত হয় । কোন কোন পণ্ডিত বলেন সামবেদের ** সাম ’’ শব্দ ইউরোপীয় ধৰ্ম্ম শাস্ত্রের Psalm অর্থাৎ ধৰ্ম্ম সংগীজ শব্দের সহিত সাদৃপ্ত আছে। আমরা তাহা ৰলি আর না বলি, কিন্তু ইহা স্বীকার করি যে ইউরোপীয়দের ধৰ্ম্মশাস্ত্রাস্তর্গত “ সাম ’’ ভাগে যে বিষয় বর্ণিত আছে হিন্দুদের সামবেদেও সেইরূপ তত্ত্বকথা অধিকাংশই দেখিতে পাওয়া যায়। এক্ষণে আমরা অথৰ্ব্ব অর্থাৎ শেষ । বেদের কথা বলিব । পুৰ্ব্ব হইতেই পাঠকগণকে বলিয়া রাখা উচিত ষে খৃষ্ট্রের অনেক সহস্ৰ বৎসর পূর্ব হইতে বেদ রচনার আরম্ভ ও প্রচলন হইয়। খৃষ্টের দুই সহস্ৰ বৎসর পূৰ্ব্বে শেষ হয় । ইউরোপীয় পণ্ডিতগণ বলেন যে, ঋগ্বেদ খৃষ্টের ২• • • সহস্ৰ বৎসর পূর্বে রচিত হয়, আমরা এ কথা পূর্বেই স্বীকার করি নাই; এক্ষণে বলি, তাহাদের