পাতা:বৈদিক গবেষণা.pdf/২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈদিক গবেষণা । 》 ৩৮। যজুৰ্ব্বেদ দুই ভাগে বিভক্ত—কৃষ্ণযজু ও শুক্লযজু। যে বেদে যজ্ঞাদির বিষয় আছে, তাহাই যজুৰ্ব্বেদ। হোতৃ ও অধ্বযু্যর মন্ত্র প্রভৃতির পরস্পর মিশ্রণ হেতু দুৰ্ব্বোধত জন্য প্রথমোক্তকে কৃষ্ণযজু ( কৃষ্ণ অর্থাৎ অন্ধকারাচ্ছন্ন ) এবং মন্ত্র ও ব্রাহ্মণের অমিশ্রণ হেতু সুবোধিত জন্য দ্বিতীয়কে শুক্ল যজু ( শুক্ল অর্থাৎ বিশুদ্ধ, সরল ) কহে। “ষজ” ধাতুর উত্তর উস প্রত্যয়ে, যজুষঃ হইয়াছে। ৩৯। সামবেদ, সমন ও সামি ধাতু হইতে উৎপন্ন। সমন ধাতু অর্থে “পাপ এবং বিরোধ নাশ”, অর্থাৎ যে পবিত্র ঈশ্বর স্তুতি বিষয়ক গীতে পাপাদি বিনষ্ট হয় । সাম শব্দের অর্থশাস্তন করা, অর্থাৎ যে গীতাদিতে পাপী মনের শাস্তন প্রদান করে । 8O | অথৰ্ব্ববেদ, যে ধাতু হইতে উৎপন্ন, তাহার অর্থ “মঙ্গলে গমন করা ।” অর্থাৎ যে বেদ অধ্যয়ন করিলে, শারিরীক, মানসিক ও বৈষয়িক বিষয় সমূহের মঙ্গলামঙ্গল জানা যায়, তাহাই অথৰ্ব্ববেদ । বস্তুতঃ, অথৰ্ব্ববেদের সময়েই আর্য্যগণ মনোবিজ্ঞান ও দেহতত্ত্বের আবিষ্কার বিষয়ে মনোযোগী হন। তাহা হইতেই চরক সুশ্রত প্রভৃতির স্বষ্টি হয়। অথৰ্ব্ববেদে শক্র বিনাশ নিমিত্ত নানাপ্রকার মন্ত্র, অনিষ্টনিবারণ ও আত্মরক্ষার্থ প্রার্থনা, দেবগণের স্তব স্তুতি, পাপপুণ্যের বিচার, রোগনির্ণয় প্রভৃতি সম্বন্ধীয় অনেক কথা আছে । ৪২। সাম, যজু, ঋক ও অথৰ্ব্ব বেদ ভিন্ন, “উপবেদ” নামে কয়েক খানি বেদ আছে। তাহ চারি প্রকার, তদ্যথা—আয়ুৰ্ব্বেদ, ধনুৰ্ব্বেদ, গান্ধৰ্ব্ববেদ এবং স্থাপত্য বেদ । ইহাদের বিবরণ পশ্চাৎ দেওয়া যাইবে। ৪> । বেদ পূৰ্ব্বে প্রস্তুত হইয় লিপিবদ্ধ হইত, পাঠাধ্যায়িগণ তাহা শিক্ষা করিতেন । কিন্তু লিপি প্রণালী প্রচলন থাকিলেও তাহ। রীতিমত বিভক্ত ও সুশৃঙ্খলা মত ছিল না । না থাকিবারই সম্ভব, কেন না যদি এক জন লোকে সমগ্র রচনা কবিতেন তাহা হইলে এ কথা সম্ভবপর হইত। যেখানে শত শত ঋষিবৰ্গ ইহার রচনা