পাতা:বৈদিক গবেষণা.pdf/২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

१२ বৈদিক গবেষণা । করিয়াছেন, সেখানে একত্রে থাকিবার সম্ভব নাই । বেদব্যাস মুনি বেদের প্রকৃত বিভাগ ও সংগ্রহ করেন । কিন্তু বেদব্যাস মুনি কে ?— কেহ বলেন ইনি ধীবর ও কেহ বলেন ইনি অবিবাহিত কন্যার পুত্র । সে যাহাহউক, ইহার যে প্রকৃত নাম বেদব্যাস নহে, ইহা অনেকেই স্বীকার করিবেন । বেদব্যাস অর্থে যিনি বেদের বিভাগ করেন (২২)। তিনি আদিনামে প্রসিদ্ধ না হইয়া বেদের সংগ্ৰহকৰ্ত্ত বলিয়া সমধিক বিখ্যাত । র্তাহার নাম কৃষ্ণ দ্বৈপায়ন । মহাভারতে উল্লেখ আছে, এক অবিবাহিতা নীচবংশোদ্ভব। কন্যার গর্ভে তিনি জন্ম গ্রহণ করেন । এজন্য তিনি কানীন সন্তান । ৪৩। আৰ্য্যজাতিগণ, সিন্ধুপারবাসী সমুদয় জাতিকে অস্পৃশ্য এবং ম্লেচ্ছ বোধে ঘৃণা করিতেন । অনার্য্য দিগকে বেদপাঠ এবং বেদ শ্রবণে অনধিকারী বলিয়া নির্দেশ করিয়াছেন। কিন্তু ইহা কি সত্য ?— বেদে শূদ্রজাতি প্রবেশ করিয়াছে, ইহার অনেক প্রমাণ আছে। বেদোল্লিখিত কবস ঋষি শুদ্রবংশোদ্ভব এবং পুরাণোল্লিখিত বিশ্বামিত্র ঋষি ক্ষত্রিয় সস্তান হইয়াও ব্রাহ্মণ মধ্যে গণ্য হইয়াছেন । ব্যাসদেব কানীন সস্তান এবং তদ্ধেতু অস্পৃশ্য হইয়াও কেমনে বেদের বিভাগ করিলেন ? অঘমর্ষণ ঋষি নীচকুলোদ্ভব হইয়া কেমনে ঋগ্বেদ শিক্ষক ছিলেন ? আমি বিবেচনা করি, শূদ্রর অস্পৃশ্য থাকিলেও, গ্রন্থরচনা তাহাদের পক্ষে নিষিদ্ধ ছিল না। ৪৪ । ঋগ্বেদ সংহিতার দশম অধ্যায়ের কোন কোন স্থল ঐলুষ কবস নামে একজন ক্রীতদাস কর্তৃক রচিত । ব্রাহ্মণের কহেন, প্রাচীন আর্য্যগণ এরূপ স্থলে বসিয়া বেদ অধ্যয়ন করিতেন, যথা হইতে কোন বাক্যই শূদ্রের কর্ণে প্রবিষ্ট হইতে পারিত না । শূদ্রের বেদ শ্রবণ বা শূদ্রকে বেদ শুনান, গোহত্য, ব্ৰহ্মহত্যাদির ন্যায় দুস্তর পাপ বলিয়া পরিগণিত ছিল। যে শূদ্র বেদ শুনিতে পাইত, তাহার কর্ণদ্বয়ে উষ্ণতৈল প্রদত্ত হইত ! ! (१२) विनकविxखन्=विन् অর্থে "জ্ঞান’ বা " বেদ, ৰি অৰ্থে বিশেষরূপে এবং অস, অর্থে অংশ বা ভাগ করা।