পাতা:বৈদিক গবেষণা.pdf/২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরিশিষ্ট । جه|se|Gه ১ । বেদ যে এত প্রাচীন কালের রচনা, তথাচ তাহাতে ব্যাকরণাশুদ্ধি লক্ষিত হয়না । বেদের ব্রাহ্মণ ভাগের অনেকস্থলে অক্ষর পদ প্রভৃতি ব্যাকরণ প্রযুক্ত সংজ্ঞার উল্লেখ দৃষ্ট হয়। বেদ সংহিতার বিভিন্ন শাখাস্থ স্বর গ্রামে উচ্চারণপদ্ধতিজ্ঞাপক-স্বত্র সমূহ বিভিন্ন ব্যক্তি কর্তৃক রচিত হইয়া প্রাতিশাখ্য নামে অভিহিত হয় । শুক্ল যজুৰ্ব্বেদের মাধ্যন্দিনী বাজসনেয়ী শাখার শতপথব্রাহ্মণে একবচন, বহুবচন এবং ছন্দোগ্য উপনিষদে স্বর, উষ্মা, স্পর্শ প্রভৃতি বর্ণবিভাজক সংজ্ঞার উল্লেখ আছে । সামবেদ সংহিতার ঋকে মহর্ষি গণ ব্যাকরণ নির্দিষ্ট পদচতুষ্টয়ের উল্লেখ করিয়া আরাধ্য দেবতার স্তুতি করিতেও পরায়ুখ হয়েন নাই । বেদের ব্যাকরণের প্রাতিশাখ্য পৃথকরূপে রচিত হইয়াছে ; ইহার মধ্যে ঋগ্বেদ প্রাতিশাখ্য (২৩) অতি প্রাচীন । তৈত্তিরীয় + ও বাজসনেয়ী প্রাতিশাখ্য যজুৰ্ব্বেদের অন্তর্গত। লাগোজী ভট্ট, সামবেদের প্রাতিশাথ্যের উল্লেখ করিয়াছেন। যথা “সামলক্ষণম্ প্রতিশাখ্যম্ শাস্ত্রম,” কিন্তু এক্ষণে উহা দৃষ্ট হয় না । প্রাতিশাখ্য এক প্রকার ব্যাকরণ। ব্যাকরণের সমস্ত লক্ষণই ইহাতে আছে । বেদ ব্যাখ্যার জন্যই ইহা লিখিত হইয়াছে । (২৩) আনন্দপুরবাসী বজাতের পুত্র উয়ট ভট্ট, ইহার টীকা করেন। এই টীকার নাম পার্ষদ ব্যাখা । উয়ট, ভোজদেবের সমকালীন । f ইহার অনেক ভাষ্য ছিল, তন্মধ্যে ত্রিভাষ্য রত্ব এখন প্রচলিত। এতৎ পূৰ্ব্বে বররুচির আক্রিয় ও মাহেষী ভাষ্য ছিল ।

  1. উয়ই ভট্ট ইহার টীকাকার। এতদ্ভিন্ন রামচন্দ্র কৃত প্রাতিশাখা জ্যোৎস্ন নামে আধুনিক টীকা অাছে।