পাতা:বৈষ্ণবদিগের সাধনা - ক্ষীরোদবিহারী গোস্বামী.pdf/১১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আর নিত্যানন্দের অপর গাদি ছিল না। নচেৎ রামাই এক গাদির & অধিকারী হইয়া নিত্যানন্দের ঔরস পুত্ৰ সাব্যস্ত হইতে পারিতেন। . কুলশাস্ত্রে অবগত হওয়া যায় যে ইহারা পূর্বে কুলীন ছিলেন ; এবং : পাটুলিয়া চাটুতি বলিয়া বিখ্যাত। কিন্তু ইহারা কত পৰ্য্যায় হইতে । ংশজ ভাবাপন্ন তাহ সহজে জ্ঞাত হইবুর উপায় নাই। তবে আদান । প্ৰদানে জ্ঞাত আছি, চৈতন্য দাসের পিতা বংশীবদনানন্দ চট্টো, যথাৰ্থ । বৈষ্ণব চূড়ামণি ছিলেন। তিনি দক্ষের অধস্তন বিংশতি পৰ্য্যায়ে জন্ম গ্ৰহণ করিয়াছিলেন। রামাই দ্বাবিংশ । ইহার মধ্যে দেখা যায় । রামাইয়ের অধস্তন চতুর্থ পৰ্য্যায়ে লক্ষনীকান্তু গোস্বামীর কন্যা বিবাহ । করিয়া শ্ৰীধরের বংশে লক্ষনীকান্ত মুখের দ্বিতীয় পুত্ৰ মাণিক চন্দ্র । ভঙ্গ হয়। পুনশ্চ রামেশ্বরের বংশ সস্তুত কালীপ্রসাদের চতুর্থ পুত্ৰ । গোপীনাথের সহিত বৈঁচির পাংচং নিত্যানন্দ গোস্বামীর কন্যা বিবাহে । ভঙ্গ। পুনশ্চ ঐ কালীপ্রসাদের পঞ্চম পুত্ৰ গঙ্গাপ্ৰসাদ বাগনাপাড়া । নিবাসী বিশ্বম্ভর গোস্বামীর কন্যা বিবাহে ভঙ্গ হন। সুতরাং জ্ঞাত । হওয়া যায় যে ইহারা পূর্ব হইতেই ভঙ্গ ভাবাপন্ন। কিন্তু এতাবৎ ৪ কুলকাৰ্য্য করিয়া সম্মানিত হইয়া রহিয়াছে। এদিকে বীরচন্দ্ৰ জাহ্নবার বিলম্ব দেখিয়া মাতাঠাকুরাণীর নিকট যাইতেছিলেন ; পথে । সাক্ষাৎ হইল। মাতাকে লইয়া রামাইসহ খড়দহে ফিরিয়া আসিলেন। পরে জাহ্নবার আজ্ঞানুসারে বৃন্দাবনে রামাই চলিয়া গেলেন। তৎপরে বাগনাপাড়ায় শ্ৰীমূৰ্ত্তি ( রামকৃষ্ণ ) স্থাপন করিয়া বাস করিতে । লাগিলেন। এক্ষণে রামাইয়ের ভ্রাতা সচ্চিদানন্দের ধারা শ্ৰীপাঠ বাগনাপাড়ার গোস্বামী খ্যাতি লাভ করিয়া বৰ্ত্তমান রহিয়াছে। পূর্বে উক্ত রামাই শ্ৰীশ্ৰী রাধার শ্যামসুন্দর জীউর সেবা করিতেন এবং খড়দহে বাস করিতেন। রামাই যখন দেবালয় স্থাপন করিয়া অতিথি সৎকারে নিবিষ্ট । ছিলেন, সেই সময় বীরচন্দ্র খড়দহ হইতে বৈষ্ণবগণের মুখে অতিথি সৎকারের সুখ্যাতি শুনিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন। বৈষ্ণবগণ আনুপূর্বক সমস্ত অবগত করায় বীরচন্দ্ৰ আশ্চৰ্য্য হইয়া বলিয়াছিলেন যে,