পাতা:বৈষ্ণবদিগের সাধনা - ক্ষীরোদবিহারী গোস্বামী.pdf/১১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩২ শ্ৰীনিত্যানন্দ-বংশৰালী । ) যেবা সব বিরক্ত তপস্বী অভিমানী"। । তা সবার মুখে হ নাহিক হরিধ্বনি । অতি বড় সুকৃতি সে স্নানের সময় । “গোবিন্দ পুণ্ডৱীকাক্ষ” নাম উচ্চারয়৷ গীতা ভোগবত যে যে জন পঢ়ায় । ভক্তির ব্যাখ্যান নাহি তাহার জিহবায় এই মত বিষ্ণু-মায়া মোহিত সংসার। দেখি ভক্ত সব দুঃখ ভাবেন অপার৷ " (ইতি চৈতন্য ভাগবতে ) এই প্ৰকার ধৰ্ম্মের গ্রানি উপস্থিত দেখিয়া ভগবান ভক্ত মনোরথ পূর্ণ করিবার অভিলাষে ১৪০৭ শকে শ্ৰীচৈতন্য কলেবরে প্রকট হইলেন। শ্ৰীচৈতন্যের আবির্ভাবের পূর্বে শ্ৰীনিত্যানন্দ প্রকট হইয়া দ্বাদশবর্ষ বয়ঃক্রম কালে অবধূত বেশে তীর্থ পৰ্য্যটন হেতু গৃহত্যাগ করিলেন । বিংশতি বর্ষ কাল পৰ্য্যন্ত তীর্থ পৰ্য্যটনানান্তর দ্বাত্রিংশদ্বর্ষ বয়ঃক্রমে পুনশ্চ মথুরাধামে প্রত্যাবৰ্ত্তন করিয়া শ্ৰীগৌরাঙ্গ লীলার উপযুক্তকাল পৰ্য্যন্ত প্ৰতীক্ষা করিতেছিলেন। তদনন্তর উপযুক্ত সময় বুঝিয়া শ্ৰীনবদ্বীপে নন্দন আচার্ঘ্যের গৃহে অবস্থিতি করিতে লাগিলেন। এদিকে শ্ৰীচৈতন্য পরিকর সহ মহাপুরুষ অনুসন্ধানের ভান করিয়া শ্ৰীনিত্যানন্দ সাক্ষাৎকার লাভ ও স্বীকাৰ্য্য উদ্ধারে যত্নবান হইলেন। অর্থাৎ এই মিলনের পূর্বে শ্ৰীমহাপ্ৰভু অত্যন্ত চাঞ্চল্য দেখাইতেন। শ্ৰীনিত্যানন্দ সাক্ষাৎ অবধি তাহার কাৰ্য্যকারীকভােব পরিস্ফটুি হইয়াছিল। অবশেষে আদি লীলা সম্পূর্ণ করিয়া অন্ত্যলীলার শেষ ভাগে সন্ন্যাস গ্ৰহণানন্তর নীলাচলে অবস্থান কালে শ্ৰীনিত্যানন্দকে গৃহী হইতে অনুরোধ করিতে লাগিলেন। শ্ৰীনিত্যানন্দ কখনও বিধিবােধিত সন্ন্যাস গ্ৰহণ করেন নাই। সুতরাং গৃহস্থাশ্রমে তাহার সম্পূর্ণ অধিকার ছিল। কিন্তু বিশিষ্টাদ্বৈত জ্ঞানই কঠোর অন্তরায়। র্তাহার মনে ংসার কখন স্থান পাইত না। প্ৰেমানন্দে বিহবল শ্ৰীনিত্যানন্দ একমাত্র নাম ব্রহ্মেরই নির্বিকল্প উপদেষ্টা ছিলেন। অর্থাৎ তিনি সূক্ষ্য ও সম্পূৰ্ণ ষড় গুণ বাসুদেব নামক পরব্রহ্মের অধিকারী। ।