পাতা:বৈষ্ণবদিগের সাধনা - ক্ষীরোদবিহারী গোস্বামী.pdf/১২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰীনিত্যানন্দ বংশবলী । ৩৭ যাত্ৰা করিলেন। পথে আসিবার সময় ভাহার পূর্বঘটনাবলি স্মৃতিপথে উদয় হইল। একচক্র গ্রামে শ্ৰীনিত্যানন্দের পিতা প্রভুর বিবাহ দিবার অভিলাসে কুনকুন ব্রাহ্মণের কন্যার সহিত সম্বন্ধ স্থির করিয়া, অপ্ৰত্যাশিত বৈরাগ্য বাতে কম্পিত হইয়াছিলেন। তাহার আঘাতে পিতা মৰ্ম্মাহত হইয়া ইহলোক পরিত্যাগ, করিলেন। এক্ষণে পিতৃআকাঙক্ষ। স্মরণ পূর্বক তাহা পূর্ণ করিতে মনস্থ করিলেন। গৌড়ে পৌঁছিয়া মোকাম পানিহাটী রাঘব পণ্ডিতের ঘরে আতিথ্য স্বীকার করিয়া, দিবারাত্র নাম ও উচ্চসংকীৰ্ত্তন করিতেছিলেন, কিন্তু ক্ষণে ক্ষণে চিন্তার লক্ষণ ভাহার মুখচন্দ্ৰি মায় প্রকাশ পাইতে লাগিল। একদা রাঘব এইরূপ চিস্তার কারণ জিজ্ঞাস করায় শ্ৰীনিত্যানন্দ শ্ৰীচৈতন্য দেবের আদেশ জ্ঞাত করিলেন। কিন্তু রাঘব ঐ সকল বাক্যের প্রত্যুত্তর না করিয়া মহাস্ত ও ভক্তবৃন্দ সমভিব্যাহারে শ্ৰীনিত্যানন্দকে লইয়া নবদ্বীপে উপস্থিত হইলেন ; এবং শ্ৰীবাসের গৃহে।। দুই চারি দিবস অবস্থানান্তর প্রত্যাগত হইলেন । কিছুদিন গত হইলে পর, একুদিন কীৰ্ত্তনা বসানে শ্ৰীশদ্বৈতাচাৰ্য্য ও শ্ৰীনিবাস 4३ বিবাহের প্রস্তাব জ্ঞাত করিলেন। মোকাম বড়গাছি নিবাসী রাজা হরিহোড়ের পুত্ৰ কুমার কৃষ্ণদাস, কন্যা অনুসন্ধানে প্ৰবৃত্ত হইয়া গৌড়েশ্বরের প্রধান কৰ্ম্মচারী শালিগ্রাম নিবাসী সারিখেলোপাধিক শ্ৰীসূৰ্য্যদাস পণ্ডিতের কন্যা মনোনীত করিয়া, শ্ৰীজয়ানন্দ ঘটকাচাৰ্য্যকে তথা প্রেরণা করিলেন । পণ্ডিত মহাশয় শ্ৰীনিত্যানন্দকে কন্যাদানের কথা শ্ৰবণ মাত্রে অগ্নিবৎ প্রজ্জ্বলিত হইয়া উঠিলেন। শ্ৰীজয়ানন্দ চক্ৰবৰ্ত্তী পুনশ্চ কোন কথা উত্থাপন করিতে সাহসী হয়েন নাই। । প্ৰত্যুত কৃষ্ণদাসকে জ্ঞাত করিলেন মাত্র। কুমার পণ্ডিতের অসম্মতি বুঝিয়া অন্য অন্য স্থানে চেষ্টা করিতেছেন জানিতে পারিয়া, শ্ৰীনিত্যানন্দ স্বয়ং এই শুভকাৰ্য সংঘটনে মনস্থ করিলেন। দৈবক্রমে সেই দিবস স্বপ্নাদিষ্ট হইয়া সূৰ্য্যদাস কহিতে লাগিলেন। তথাহি-ওহে বন্ধু কহে এই অপরূপ কথা । কেহ বলে স্বপ্নেতে দেখায় বহু বস্থা ৷