পাতা:বৈষ্ণবদিগের সাধনা - ক্ষীরোদবিহারী গোস্বামী.pdf/১২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

80 শ্ৰীনিত্যানন্দ বংশাবল্লা। ” শুনিয়া পণ্ডিত কহে তার বন্ধুগণ । , জীয়াই লে কন্যা দিব বঞ্চি দু:ম পািণ ॥ ত{হা শুনি নিভ্যানন্দ আনন্দ ত মনে । মৃত সঞ্জীবনী নাম দিল তার কাণে ৷ যে প্রকারেই হউক না। কেন, বৃন্দাবন দাস অপস্মার রোগ লিখিয়াছেন। শ্ৰীনিতানন্দ দাস ও অদ্বৈত প্রকাশকার সর্পাঘাত বলিয়া বৰ্ণন করিয়াছেন এই মাত্র প্রভেদ। অপস্মার নিদানম | চিন্তাশোকাদিভিদোষাঃ ব্রুদ্ধ হৃৎস্রোতসি স্থিতাঃ । কৃত্ব স্মৃতেরপধ্বংসমপৰ্ম্মারং প্ৰকুৰ্ব্বতে ॥ " তমঃ প্ৰবেশ সংরস্তো দোযোদ্রেকহন্তস্থাতেঃ। অপস্মার ইতি জ্ঞেয়ো গদোঘোরশচতুৰ্ব্বিন্ধঃ ॥ অনিলজ, পৈত্তিক, শ্লৈষ্মিক, এবং ত্রিদোষজ এই চতুৰ্ব্বিধ অপস্মার। অতি প্রবৃদ্ধ বাতাদিদোষ সকল স্মৃতিনাশ পূর্বক এই ঘোরতর ব্যাধি উৎপন্ন করে বলিয়া ইহার নাম "অপস্থার ; অপস্মারকে পণ্ডিতগণ অসাধ্য বলিয়া নির্দেশ । করিয়াছেন। বায়ু, পিত্ত ও কফজাত যে অপস্মার জন্মে তাহা সাধ্য। সন্নিপাত দ্বারা যে অপস্মার উৎপন্ন হয় তাহা প্রত্যাখ্যোয়। দোষজ অপস্মার যখন আগন্তুর ( দেব গ্ৰহাদির ) সংযোগ হয়, তখন ভিষন্বরের সাধারণা কৰ্ম্ম ও মন্ত্রাদির প্রয়োগ করিতে উপদেশ দেন । ৮ অধ্যায় ৮ শ্লোকে এবং ১২ শ্লোকে নিদান স্থানে উক্ত হইয়াছে। অর্থাৎ সৰ্প দংশনে, বিষ প্রয়োগে যা বিসুচিকা ও অপস্মার রোগে রোগী মৃত্যুবৎ, প্ৰতীয়মান হইলেও জীবনীশক্তি তৎক্ষণাৎ অন্তহিত হয় না। কখন কখন এই সকল রোগগ্ৰস্থ ব্যক্তিকে পুনর্জীবিতের । ন্যায় দেখা যায় এবং আরোগ্যলাভ করে। এস্থলে বসুধার অপস্মারই হউক বা সর্পাঘােতই হউক ঘটনাচক্ৰে সমস্ত একরূপ দৃষ্ট হইতেছে। কিন্তু আমার বিদ্বান গ্ৰন্থকার মহাশয় কলুর কন্যা কোথা পাইলেন। এবং তান্ত্রিক মতে পুনশ্চ ভেকে বিবাহ এবং সেই জন্য তাহার পুত্রের বীর উপাধি হইয়াছিল। এই সমস্ত ইতুরে কথা কোথা হইতে পাইলেন। ইহা বোধ হয় তাহার বিদ্যার বহর হইতে অবতারণা করিয়াছেন। যাহা হউক আমরা তাহাতে দুঃখিত নাহি। কারণ যদি কোন শিষ্ট বা সুধী ব্যক্তির দ্বারা বর্ণিত হইয়া প্রকাশিত হইত। তাহা হইলে ।