পাতা:বৈষ্ণবদিগের সাধনা - ক্ষীরোদবিহারী গোস্বামী.pdf/১৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বরচন্দের বিবাহ । জাহ্নবাদেবী আখণ্ড বন্ধ্যা ছিলেন শ্ৰীবসুধাগর্ভ সস্তুত, বীরচন্দ্র বাল্যলীলা শেষ করিয়া ক্ৰমে কৈশোর প্রাপ্ত। যদিচ তিনি বিদ্যা বা তপস্যায় পিতা নিত্যানন্দ অপেক্ষ। ৭মৃনি ছিলেন না। তত্ৰাচ চাঞ্চল্য বশতঃ ঐশ্বর্যের প্রলোভনে প্ৰতারিত হইয়া অমানুষী কাৰ্য্য সকল প্রদর্শন করিতে আরম্ভ করিলেন। সেই কারণ শ্ৰীনির্ভ্যানন্দ তাহার উপর বিরক্ত এবং বাজীকর বলিয়া ঘৃণার চক্ষে দেখিতেন । একদা উপদেশাচ্ছলে বীরকে কতকগুলি সাধক সুগম ও সুললিত শিক্ষা দিয়াছিলেন। যেসকল কাৰ্য্য ও বিষয় লইয়। উন্মত্তপ্রায় হইয়াছ, ইহা পরিমার্থ বা তত্ত্যুৎ প্ৰাপ্তির সাধক নহে । বরং ঐ সকল বিষয়ের আলোচনায় সাধনার পথ একেবারে বদ্ধ হইয়া যায়। ক্রমে যাদুকর বা বুজ রুখ খ্যাত হইয়া লোক সমাজে প্রসিদ্ধিলাভ করতঃ ব্যবসার দ্বার উদযাটিত হয় ও লক্ষ্য ভ্ৰষ্ট হইয়া পড়ে। তখন ইহাই তাহদের পরমপুরূষাৰ্থ অনুমীত হয়। যদিচ অনিমাদি অষ্টসিদ্ধি সাধককে আপনা হইতেই পূর্বপৰ্য্যায়ে আশ্রয় করে । ফলতঃ যাহারা অপব্ধ যোগী তাহাদিগের উপর সিদ্ধি নিচয় প্ৰভুত্ব স্থাপন করিয়া শনৈঃ যোগভ্ৰষ্ট করিয়া অধঃপতিত করে । কাৰ্য্যতঃ পরমার্থের আর আকাঙক্ষামাত্র থাকেন। অতএব তুমি এই সকল প্রলোভন ত্যাগ কর । কিন্তু বীরচন্দ্ৰ পিতার উপদেশ দুর্বোধ্য বিধায় অবহেলা করিয়া গৃহত্যাগে কৃত সংকল্প হইলেন। গৃহত্যাগের পর পূর্ববঙ্গে কয়েকদিন ধৰ্ম্ম প্রচার করিতেছিলেন। , দেখিলেন বৌদ্ধগণের প্রবল অত্যাচারে হিন্দু একেবারে অবসন্নপ্রায় । পূর্বে গৌড়ে নীচ জাতীয় অত্যাচার সামান্য ছিলনা। তাহার পর বৌদ্ধ অভুত্থানে প্রায় সকল জাতিই বৌদ্ধ ধর্মানুরাগী হইয়াছিল। বিশেষতঃ বহু নীচজাতি বৌদ্ধ ধৰ্ম্ম গ্ৰহণ করিয়াছিল। ললিতবিস্তারে তাহার আভাষ প্রাপ্ত হওয়া যায়। কিন্তু বীরচন্দ্রের বঙ্গদেশ