পাতা:বৈষ্ণবদিগের সাধনা - ক্ষীরোদবিহারী গোস্বামী.pdf/১৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(R নিত্যানন্দ বংশবািল্লী । নানা কাৰ্য্যে ব্যাপৃত ৰীরচন্দ্ৰ ক্ৰমে কৈশোর উত্তীর্ণ হইয়া যৌবনে পদার্পণ করিলেন। শ্ৰীনিত্যানন্দ ইতিপূর্বেই অপ্রকট হন। কিন্তু কি প্রকারে এবং কি অবস্থায় ও কোথায় তিনি অপ্রকট হন তাহার সঠিক সংবাদ কোন গ্রন্থে বর্ণিত হয় নাই। এবং অনুমান ও অসম্পূর্ণ হইয়া পড়ে। বরং শ্ৰীচৈতন্যের অপ্রকট অধিকন্তু অনুমান সিদ্ধ বলা যায় নিত্যানন্দের কোন প্রকারেই কিছুই স্থির হয় না । তবে তাহার কতক অংশ প্ৰকাশ আছে জয় নন্দের চৈতন্য মঙ্গলে ‘আশ্বিন মাসেতে যোগ কৃষ্ণাষ্টমী তিথি। নিত্যানন্দ বৈকুণ্ঠ চলিলা ছাড়ি ক্ষিতি।” শ্ৰীল বৃন্দাবন ঠাকুর মহাশয় বলেন প্ৰভু নিত্যানন্দ কৃষ্ণচৈতন্যের বিচ্ছেদে দিবানিশি বিলাপ করিতে লাগিলেন। প্রায়ই সজ্ঞা হীন থাকিতেন, জ্ঞান হইলে চৈতন্যের আলাপ ও বিলাপ করিতেন । তিনি নিরস্তর খড়দহে বাস করিতেন ও শ্যামসুন্দর মূৰ্ত্তি দর্শন করিতেন। কিন্তু ইহা কি প্রকারে সম্ভব শ্যামসুন্দর যখন প্রতিষ্ঠা হয় তখন নিত্যানন্দ প্ৰকট ছিলেন না, তাহার ষথেষ্ট প্রমান আছে। তাহার পূবে ই অপ্রকট হইয়াছিলেন প্রতিষ্ঠা কার্ষ্যে অচ্যুতানন্দই কৰ্ম্মকৰ্ত্তা ছিলেন। তবে হিসাব করিয়া দেখিলে এই শ্লোক প্রক্ষিপ্ত বলিয়াই প্ৰতিপন্ন হয়। বা লিপিকর প্রমাদ তাহার সন্দেহ মাত্র নাই । শ্ৰীমন্নিত্যানন্দ এক চাকা গ্ৰাম হইতে বঙ্কিম দেবকে মোকাম খড়দহে আনিয়া স্থাপনাস্তর ত্রিপুরা-সুন্দরী ও অনন্তদেব শিলা, এই তিন দেবতার পূজা সেবা করিতেন। তিনি লীলা সম্বরণ করিলে, বীরচন্দ্র যখন শ্যামসুন্দর মুৰ্ত্তি প্রতিষ্ঠা করিলেন, সে সময় ঐ উভয় বিগ্রহই গুঞ্জাবাটীতে ছিলেন। কিন্তু দুই বিপ্ৰহ একস্থানে বা একই রন্দিরে স্থাপিত করা শাস্ত্র ও আচার বিরুদ্ধ। সেই কারণ পুনশ্চ মন্দিরের প্রয়োজন বিধায় ঐ নুতন, মন্দির হাতি সামন্যরূপে নিৰ্ম্মিত হইল, এবং শ্যামসুন্দর ত্রিপুরাসুন্দরী ও শ্ৰীঅনন্তদেব নূতন মন্দিরে প্রেরিত হইলেন। কিছুদিন রেপ দুই মন্দিরে দুই বি প্রহের সেবা পূজা দুরূহ প্ৰযুক্ত বীরচন্দ্ৰপ্ৰভু