পাতা:বৈষ্ণবদিগের সাধনা - ক্ষীরোদবিহারী গোস্বামী.pdf/১৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বীরচন্দ্রের বিবাহ। Q○ বঙ্কিম দেবকে গোপীজনবল্লভ ও রামকৃষ্ণের হস্তে অৰ্পন করিলেন। কিন্তু অনন্তদেব দিলেন না। সেই পৰ্যন্ত বন্ধিমদেব মোকাম। নোতাগ্রামে গমন করিলেন। উত্তরাধিকারী সূত্রে নহে। এবং তদবধি বহু বৎসর পর্য্যন্তগুঞ্জাবাটীর পুরাতন মন্দির শূন্য ছিল। অধুনা অল্পকাল মাত্র আমার মন্ত্র শিষ্য শ্ৰীযুক্ত বাঁবু প্রমথনাথ মল্লিক ঐ মন্দির ভগ্ন করিয়া গুঞ্জ বাটীর মধ্যস্থলে দুইখানি ঘর নিৰ্ম্মাণ করিয়া দিয়াছেন। শ্ৰীনিত্যানন্দ প্রভুর জন্মোৎসব সেই স্থানেই প্ৰতি ৰৎসর সম্পন্ন হইয়া থাকে । নূতন মন্দির প্রথমে অতি সামান্য ব্যয়ে নিৰ্ম্মিত, সেই জন্য অতি অল্প সময় মধ্যে বিধ্বস্ত হইয়া পড়িল। প্ৰবাদ আছে পটেশ্বরী মাতা গোস্বামিনী ঐ মন্দিরের পুনঃসংস্কার করেন। সেই অবস্থায় অদ্যাবধি বর্তমান রহিয়াছে। এপর্য্যন্ত সম্পূর্ণভাবে ঐ মন্দিরের সংস্কার হয় নাই। যখন বীরচন্দ্ৰ বঙ্কিম দেবকে দান করেন, সেই পৰ্য্যন্ত অদ্যাবধি গোপীজনবল্লভ ও রামকৃষ্ণের বংশ পরম্পরায় সেবাধিকারী হইয়া রহিয়াছেন মাত্ৰ । তথাহিকে বুঝিতে পারে নিত্যানন্দের প্রভাব। মন্দির প্রবেশ করি কৈলা তিরোভাবি ৷ পুনঃ প্ৰভু মনে ভাবি প্ৰবোধ হইল। বনু জাহাবাকে লৈয়া গমন করিল ৷ তথা হইতে একচাকা করিলা গমন । বঙ্কিম দেবোরে গিয়া করে দরশন ৷ কতদিন বঙ্কিম দেবেরে দেখি তথা । বঙ্কিম দেবে অন্তৰ্দ্ধান হইল সেথা | বীরচন্দ্রের গর্ভধারিণী তৎকালে জীবিত । কথিত আছে ১৫১০ শকে শ্ৰীনরোত্তমের খেতুর বা খেতরী গ্রামের মহামহোৎসবে দেবী জাহ্নবী ও বীরচন্দ্র উভয়ে কর্তৃত্ব করিয়াছিলেন। মহোৎসব শেষ করিয়া আসিবার সময়, পরমেশ্বরী দাস তাড়াঅ টিপুরের সংবাদ ।