পাতা:বৈষ্ণবদিগের সাধনা - ক্ষীরোদবিহারী গোস্বামী.pdf/১৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বীরচন্দ্রের বিবাহ। ad লক্ষনী দেবীর সম্ভাষণে মাতা গোস্বামিনী সন্তোষ হইয়া ঐ ভূত্যের দ্বারা যদুনন্দনের নিকট বিবাহের প্রস্তাব উত্থাপন করিলে ; তিনি স্বয়ং উপস্থিত হইয়া সম্বন্ধ স্থির করিলেন। কন্যাদয়কে বধূরূপে ক্ৰোড়ে পাইয়া জাহ্নবা আনন্দ সাগরে নিমগ্ন৷ হইলেন। শীঘ্রই বিবাহ কাৰ্য্য শেষ করিয়া বর ও নববধূদ্বয় সহ খড়দহে উপস্থিত হইলেন। শ্ৰীবসুধা ও গঙ্গা দেবী বধূদ্বয় ঘরে তুলিলেন। সেই দিবস হইতে খড়দহে মহাসমায়োহে ব্ৰাহ্মণ ও কুলীন সন্তানগণকে নিমন্ত্রণ করিয়া ভোজন এবং সামাজিক ব্যবহারাদি দান করিয়া তিন দিবস মহামহোৎসব আরম্ভ করিলেন । এই সমস্ত কাৰ্য্য সপ্তাহ কালে পৰ্য্যাপ্ত হইয়াছিল। শ্ৰীজাহ্নবা উপস্থিতেই বসুধা দাবী সর্গরোহণ করিলেন, এবং শ্ৰী জাহ্নবা শ্ৰীবৃন্দাবনে উপস্থিত হইয়া শ্ৰীগোপীনাথ জিউয়ের বাম ভাগে উপবিষ্টা রহিলে না। শ্ৰীমতী দক্ষিণে বিরাজ করিতে লাগিলেন। যাহা অদ্যাৰধি সেই ভাবেই বিয়াজিত রহিয়াছে। শ্ৰীপরমেশ্বরী দাস কহে ধীরি ধীরি। নির্বিঘ্ৰে গেলাম বৃন্দাবনে শীঘ্ৰ করি ৷ সেবাধিকারিরে গোপীনাথ আজ্ঞা কৈলা । লৈয়া গেনু যারে তঁারে বামে বসাইলা ॥ পূৰ্ব্বঠাকুরাণী হর্ষে বসিলা দক্ষিণে । হইল অদ্ভুত শোভা দেখিানু নয়নে ৷ (ইতি নরহরি চক্ৰধৰ্ত্তী ) রসুয়াঠিাকুর। শ্ৰীনিত্যানন্দের বিবাহ ব্যাপার বর্ণন করিতে পুস্তকের কলেবর কৃদ্ধি হইয়াছে। বীরচন্দ্রের বিবাহে সেইজন্য সতর্ক হইতে হইল । পাঠকবৃন্দ রসভঙ্গ বিষয়ে ক্ষমা করিবেন। শ্ৰীবীরচন্দ্ৰ মুখ ছিলেননা। তিনি বহু গ্রন্থের টীকা ও ভাষ্য রচনা করিয়া গিয়াছেন। তিনি স্বধৰ্ম্ম বিষয়ে একজন বিবেককার ও অতিশয় সৎ প্রচারক। :