পাতা:বৈষ্ণবদিগের সাধনা - ক্ষীরোদবিহারী গোস্বামী.pdf/১৪৯

শ্ৰী রামচন্দ্রের বিবাহ ও বাল্যাবস্থা । ଓଁ ଶ করিবেন, আপনারা বুঝিতে সক্ষম না হইলেও আমাদের ইহাতে প্রচ্ছন্ন ভাবে পূতিগন্ধময় স্বাৰ্থ বিদ্যমান আছে। অধুনা অদৃষ্টদুষ্ট অবস্থান্তরায়ের ব্যবচ্ছেদে ব্যভিচার দৃষ্ট হইলেও অদ্যাবধি ৬/নিমাইচরণ মল্লিকের বংশে ঐরােপ দাতা বিরল নহে। ৬/কমলাকার অধিকারীর বংশে শ্ৰীনিতানন্দ বংশের সহিত ব্যবহার ও অন্ন সম্পর্ক আছে ও ছিল । কিন্তু ৬/বল্লভজার সেবাধিকারিগণের সহিত ইহা নাই, এবং পূর্বেও ছিল না। ৬%নিমাইচরণ বল্লভজির মন্দির ও প্রস্তুত করিয়াছেন, ঐ মন্দির ভগ্নাবস্থায় গঙ্গাতীরে এপৰ্য্যন্ত বিদ্যমান রহিয়াছে। পরে গৌরচরণ মল্লিক' বৰ্ত্তমান মন্দির নিৰ্ম্মােণ । করিয়া ৬০/বল্লভজিউকে স্থাপন করেন । এবং ৬/সেবার জন্য প্ৰত্যহিক ২১ হিঃ বৃত্তি ধাৰ্য্য করিয়া দিয়া স্বনামে মন্দির প্রতিষ্ঠা করিয়া দিয়াছেন। পরে ৩/নিমাইচরণ মল্লিকের কনিষ্ঠ পুত্র ৩/মতিলাল মল্লিক রাসমঞ্চ নিৰ্ম্মাণ করিয়া দিলেন : “রুদ্রব্রাম পণ্ডিভের প্রতিষ্ঠিত ৬/রাধাবল্লভজীউ । পরে তাহার সহোদর পুত্র রতিরাম ঠাকুর সেবাধিকারী নিযুক্ত হয়েন । রাভিরামের বংশধরগণ অদ্যাবধি সেবাধিকারী বৰ্ত্তমান রহিয়াছেন । ইহারা মল্লিক। বাবুদের দান গ্ৰহঁণে পতিত হন। এক্ষণে চতুঃসাগরী করিয়া জেতে উঠিয়াছেন ।” দেবগণের মৰ্ত্তে আগমন ও৮৭ পৃষ্ট । ” এই কারণেই বোধ হয় আমাদের সহিত আহার ব্যবহার নাই । ও ছিল না। রামচন্দ্র প্রভুর বিবাহের যোজকতা শ্ৰীমতীঠাকুরাণীই সংঘটন করিয়াছিলেন । অম্বিকা নাম্নী এক ব্ৰাহ্মণকন্যা তাহার প্ৰিয়সখী ছিলেন। তিনি পিপলাই মহাশয়দিগের বাটীতে যাতায়াত । করিতেন। তিনিই শ্ৰীমতীঠাকুরাণীর দ্বারা শুভকাৰ্য্য স্থির করিলেন। , বিবাহ সময়ে ঘটকাচাৰ্য্য দেবীবর বিশারদ সভায় উপস্থিত ছিলেন । । বীরচন্দ্ৰ প্ৰভু তাহার মন্ত্র দাতা গুরু ছিলেন পূর্বেই তাহার উল্লেখ করিয়াছি। ৰীরচন্দ্ৰ প্ৰভু তাহাকে নিমন্ত্রণ করিয়াছিলেন। সেই | কারণ দেবীবর এই বিবাহের উল্লেখ করিয়াছেন। বিবাহের অঙ্গভৃত ।