পাতা:বৈষ্ণবদিগের সাধনা - ক্ষীরোদবিহারী গোস্বামী.pdf/১৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

V9y নিত্যানন্দ বংশাবলী। রাঢ়িতে বারোন্দ্ৰে বিয়ে হইয়াছে অনেক । দেশ ভেদে নাম ভেদ এই পরতেক | | ( বঙ্গের জাতীয় ইতিহাস ) বৈষ্ণব কবি পরম ভাগবত শ্ৰীলনিত্যানন্দ দাসের এই নিবন্ধ পাঠ করিয়া আমার সন্দেহ ও চিন্তা দূর হইল। তাহার পর অপর অপর গ্ৰন্থপাঠে প্ৰকৃত বিষয় অবগত হইলাম । মাধবাচাৰ্য্য যে বারেন্দ্ৰ ব্ৰাহ্মণ ছিলেন এবং রাঢ়ি ও বারেন্দ্র সংযোগ যে স্পৰ্দ্ধার বিষয় নহে। ইহাও পরিস্ফুট হইয়াছে। এবং অদ্যাবধি দেশাচার বিরুদ্ধ হেতু উভয় সমাজ মধ্যে অনাদৃত ও অশ্ৰদ্ধেয় হইয়া রহিয়াছে। যদিচ পূর্বকালে কখন কখন এইরূপ আদান প্ৰদান দেখা যায়। ইহা যে, অযশস্কর সে পক্ষে আর সন্দেহ নাই। দেখা যায় শাণ্ডিল্য গোত্রে গয়ঘড় অনন্তের বংশজাত রত্নেশ্বরের জ্যেষ্ঠপুত্র डून्, মধুসূদন ব্ৰহ্মচারীর কন্যা বিবাহে নিন্দিত ও নিস্কুল। কেহ কেই বলে মধু বারেন্দ্র ও হাড় চক্ৰবৰ্ত্তীর কন্যা ৰিবাহ ৷ পুনশ্চ দেখুন সাগরদিয়া রঘুরামের পুত্র (বিষ্ণুঠাকুরের দৌহিত্র ) গুরুনন্দন চক্ৰৱৰ্ত্তীর কন্যা বিবাহে নিন্দিত ও নিস্কুল। এই দুইটি দেখাইলাম রাঢ়ি ও বারেন্দ্ৰ সংযোগের ফল প্ৰত্যক্ষ করুন। ইহার উভয়ে শ্রেষ্ঠ কুলীন হইয়াও নিন্দার কবল হইতে নিস্কৃতি লাভ করিতে পারেন নাই। এরূপ কুলশাস্ত্রের অবৈধ সংযোগ আরও আছে। নিত্যানন্দ কুলীন নহেন সিদ্ধ শ্রোত্ৰিয়ের এরূপ আদান প্ৰদান অসম্ভব নহে। কথায় বলে “রতনেই রতন চেনে ৷” বোধ হয়। মাধবকে তিনি সমপন্থী বলিয়া চিনিয়াছিলেন। হইতে পারে তিনি মাধবের অমানুষী শক্তিতে মুগ্ধ হইয়া আপন বুদ্ধিবৃত্তি স্থির রাখতে পারেন নাই, বা কাৰ্য্য ও সময় গতিতে বাধ্য হইতে হইয়াছিল। প্ৰত্যুত মাধবাচাৰ্য্য যে মহাভাবের অধিকারী ছিলেন এবং মাধবের ভক্তিবলে মোহিত হইয়াই তাহাকে জামাতারূপে বরণ করিয়াছিলেন তাহার প্রাসঙ্গিক অভিব্যক্তির ও অভাব নাই