পাতা:বৈষ্ণবদিগের সাধনা - ক্ষীরোদবিহারী গোস্বামী.pdf/১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২ : শ্ৰীনিতানন্দ বংশবল্লী। অনুভব সিদ্ধ অর্থাৎ ইন্দ্ৰিয় প্রত্যক্ষের কিঙ্কর। স্বপ্নাবস্থায় মন সমস্ত। ইন্দ্ৰিয়ের কাৰ্য্য করে। পক্ষান্তরে জাগ্ৰাৎ অবস্থায় মনঃসংযোগ ভিন্ন কোন | ইন্দ্ৰিয় কাৰ্যক্ষম নহে। যে ইন্দ্ৰিয়ের দ্বারা প্ৰত্যক্ষ করিাৰে, সেই ইন্দ্ৰিয়ের সহিত মনঃসন্নিকৰ্ষ আবশ্যক। মনঃ অন্যবিষয়ে নিযুক্ত হইলে । বিষয়ান্তরের ইন্দ্ৰিয় সকল কাৰ্য্য করিতে অক্ষম হয় । এই জন্য বলিতে হয় মন দেহব্যাপী ও বিভু নহে। যদি মনের সর্বব্যাপিত্ব থাকিত ভাহা হইলে সমস্ত ইন্দ্ৰিয়ের কার্য এককালে ও সম্পন্ন হইতে পারিত । ইন্দ্ৰিয়ের ভ্ৰম হইত না । এই জন্যই ইন্দ্ৰিয় প্ৰত্যক্ষ সৰ্বকাৰ্য্যে সকল সময়ে যথার্থ প্ৰত্যক্ষ নহে। ইহা নিঃ সন্দেহ ভ্ৰমাত্মক । প্ৰত্যেক শরীরে মন এক একটল। ইহার প্রত্যক্ষ প্ৰমাণ সংস্কার । পূর্ব জন্মের সংস্কার নানা দেহে বিবিধ প্রকারে সতত প্ৰত্যক্ষ হইতেছে। বুদ্ধি। বুদ্ধি নিশ্চয়াত্মিক অন্তঃকরণের বৃত্তি মাত্র। কাৰ্য্য হইতেই বুদ্ধি উৎপন্ন হয়। বুদ্ধি দ্বারাই কাৰ্য্য মাত্রের সফল বা নিস্কুল হয়। মুক্তি বুদ্ধি দ্বারাই লাভ হয়। অহং অর্থাৎ “আমি” কুঁত্যাকার জ্ঞানের পরিণামে বুদ্ধির বিকাশ হয়। আবার বুদ্ধি হইতেই মনের উৎপত্তি অনুমান হয়। বুদ্ধি শব্দতনামাত্ৰকাদিবিশিষ্ট হইয়া মন হয়। অতএব বুদ্ধি দ্বারা শান্তি ও সন্তোষসাধ্য মনোজয়ের চেষ্টা করা উচিৎ। । ঐ মনকে বুদ্ধি দ্বারা জয় কবিতে পারিলেই অনন্ত ব্ৰহ্মে সমান সংযোগীরূপ অবিচ্ছিন্ন পরমানন্দ প্রাপ্ত হওয়া যায়। বুদ্ধিই জ্ঞানপ্ৰবৰ্ত্তক । বুদ্ধি বিচার দ্বারা তীক্ষ্মতা প্ৰাপ্ত হয়। বিচার এই দীর্ঘ সংসাররূপ রোগের মহৌষধ। ৰন্ধুনাশ সঙ্কট প্রভৃতি দুঃখ সর্বত্রই মোহে পরিব্যাপ্ত হইলেও বিচার সাধুগণের একমাত্র গতি । বিচার না করিলে মোহভঙ্গ হইবে না। : বিচার ব্যতীত বিপশ্চিদ গণের অন্য কোন উপায় নাই। সাধুগণের - বুদ্ধি, বিচার বলেই অশুভ পরিত্যাগ পূর্বক শুভ প্রাপ্ত হইয়া থাকে।