পাতা:বৈষ্ণবদিগের সাধনা - ক্ষীরোদবিহারী গোস্বামী.pdf/১৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

he শ্ৰীনিতানন্দ বংশাবলী। খ্যাতিলাভ করিতে পারেন নাই। দ্বিতীয়া কন্যা নবদুর্গা ৮ খ্ৰীশ্ৰীক্ষেত্রধামে অর্থাৎ ণ পুরুষোত্তমে রামানন্দ মুখোপাধ্যায়ের হস্তে সমর্পণ করিয়া মৰ্য্যাদা প্রাপ্ত। ইনি যোগেশ্বরের পুত্র জানকী নাথের ংশধর। তৃতীয়া কন্যা নবগৌৰীকে ষষ্ঠদাস মুখোপাধ্যায়কে সম্প্রদান করিয়া গৌরবান্বিত। ইনি মহাদেবের বংশে হরির পুত্ৰ কামদেৰোঁর প্রপৌত্ৰ ( খড়দহ মেল) প্রায় ৪০০ বৎসর গত কিন্তু নিত্যানন্দের । ংশধরগণ আর কখন গঙ্গাবংশের সহিত বৈবাহিক সূত্রে আবদ্ধ নহেন। বরং অবস্থা বিশেষে বংশজ ভাৰ্যপন্ন জামাতা স্বীকার করিয়া সন্তোষলাভ করিয়া থাকেন । তত্ৰাচ জিরাট বা কলিকাতা নিবাসী গঙ্গােবংশের সহিত পুনরাবৃত্তি দেখা যায় না। অধুনা তিন চারি ঘর গোস্বামী সন্তান অর্থাভাবে বা অন্য কোন কারণ বশতঃ * গঙ্গাবংশে কন্যাদান করিয়াছেন মাত্ৰ । এতাবত প্ৰকৃত তথ্য অবগত হইয়াছি ; গৌরীদাস চট্টবংশের কুলীন ছিলেন তাহা পূর্বেই লিখিয়াছি। গৌরীদাসের নামান্তর। ভগীরথ আচাৰ্য । কাশ্যপ গোত্রে বীতরাগের ধারা প্ৰদৰ্শিত হইয়াছে। তাহাতে মাধবাচাৰ্য্য জন্মগ্রহণ করেন নাই। ঐ গৌরীদাসের এক বন্ধু ছিল, তাহার নাম ৰিশ্বেশ্বর আচাৰ্য্য। তিনি কাশ্যপ গোত্রে মৈত্ৰ গাঞি ছিলেন। ঐ বিশ্বেশ্বর পণ্ডিত ছিলেন সেইজন্য আচাৰ্য্য উপাধি ধারণ করিতেন। ঐ বিশ্বেশ্বর মৈত্রের পত্নীর নাম মহালক্ষনী ও গৌরী দাসের পত্নী জয়দুর্গ। উভয়ে সখিত্ব হেতু অত্যন্ত প্ৰণয় ছিল। কালক্রমে মহালক্ষনী রুগ্ন। শয্যায় শয়ন করিলেন। কিছুদিন পরে মৃত্যু নিশ্চয় বুঝিতে পারিয়া তাহার একমাত্র পুত্র মাধবকে জয়দুর্গার হস্তে সমর্পণ করিয়া বলিতে লাগিলেন, দিদি ? এই পুত্রটি তোমার হস্তে সমর্পণ করিয়া চলিলাম। ইহাকে তোমার তৃতীয় পুত্ৰ স্থানীয় বিবেচনা করিয়া পুত্ৰ নির্বিশেষে মাধবকে পালন করিও। তুমি স্বীকার করিলে আমি নিশ্চিন্ত হইয়া এই ভৌতিক দেহ ত্যাগ করিতে পারিব। বিশ্বেশ্বর অত্যন্ত