পাতা:বৈষ্ণবদিগের সাধনা - ক্ষীরোদবিহারী গোস্বামী.pdf/১৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লোহার সিন্দুকের মকদ্দমা । vযদুলাল মল্লিকের পরামর্শে ও উদ্যোগে এবং সাহায্যে শ্ৰীশ্ৰীy = শ্যামসুন্দরজীউর লোহার সিন্দুকের মকৰ্দমা রুজু হইয়াছিল। তাহার । আমূল বৃত্তান্ত এই-পূর্বে ছোটতরফ ৬/মদনমোহন গোস্বামী ও তাহার ংশধরগণ ৬/শ্যামসুন্দর জীউর সর্ব শরিখের সেবা পূজা পর্ব সকল নিৰ্বাহ করিতেন, এবং ঐ ঠাকুরের উপসত্ত্বও সমস্ত গ্ৰহণ করিতেন। অপরাপর শরিখগণ কলিকাতাবাসী হেতু এই বিপৰ্য্যয় উপস্থিত হইয়াছিল। এইরূপে শরিখগণ প্ৰায় ৯০ বৎসরকাল বেদখল ছিলেন ; কিন্তু রাসপর্বের সময় শরিখদিগের নিকট অনুমতি গ্ৰহণ করিতেন। ইদানী তাহাও করিতেন না। এই প্রকারে শরিখ | সকল যাত্রীদলভুক্ত হইয়া পড়িয়াছিলেন। উক্ত গোস্বামীর বংশধরগণ । একাধিপত্য স্থাপন করিয়া সেবা পূজা চালাইতেছিলেন। একদিবস আমার ৬/পিতামহ ঠাকুরের মহোৎসব উপলক্ষে কথান্তর হয়, সেইজন্য আমার পিতা ৬/গুরুগোবিন্দ গোস্বামী ইহার প্রতিকার হেতু ৬/যদুলাল মল্লিকের সহিত পরামর্শ করিলেও, সে সময় তাহার কোনরূপ প্ৰতিকার হয় নাই। পরে ইহার প্রতিকার হেতু মল্লিক। বাবু বদ্ধপরিকর হইলেন। তাহাতে প্রথমে ৬/যদুলাল মল্লিক উকিল সহ ও আমরা ; লোহার সিন্দুকের চাবি প্রার্থনা করিলে, রাজেন্দ্র ও ভূপেন্দ্ৰ মোহন গোস্বামী চাবি দেখাইয়া বলেন, “আমি চাবি দিব না। যাহার ক্ষমতা থাকে তিনি লউন।” সেক্ষেত্রে আমরা ফৌজদারী কাৰ্য্যবিধির অনুগত না হইয়া সিন্দুকের মোকৰ্দমা রুজু করিলাম। এবং তাহার বিচারে মান্যবর প্রিন্সেফ ও ওকিনালি সাহেবের নিকট ১৮৮২ সালের ৫ই মে তারিখের ফয়সালার দ্বারা নিষ্পত্তির বলে এই ক্ষতিপূরণের জন্য ৬/রাজেন্দ্রমোহন গোস্বামীর বিরুদ্ধে ৪৭১০১ টাকার ডিক্ৰী প্রাপ্ত হই। ঐ বিগ্রহের অলঙ্কারাদির নিতাইকিশোর যেরূপ ভালিকা দাখিল ।