পাতা:বৈষ্ণবদিগের সাধনা - ক্ষীরোদবিহারী গোস্বামী.pdf/১৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰীনিতানন্দ বংশবল্পী। بولا ۔ উপস্থিত করিয়াছে যে-বাদিগণ কৃষ্ণমোহন গোস্বামীর উত্তরাধিকারী, । তাহারাই তাহদের কুলদেবতার কোন কোন পর্বাদি নির্বাহ করে ঐ ব্যাপারে যাহা কিছু প্রাপ্য তাহাতেই তাহাদিগের নিগুঢ় সত্ত্ব। সেই সত্ত্বে প্রতিবাদিগণ বে-আইনিরূপে হস্তক্ষেপ করিয়া বিগ্ৰহ দখল করিয়াছে; এবং বাদিদিগের সত্ত্বানুসারে বাদিগণকে কাৰ্য্য করিতে বিবাদীরা বাধা দিতেছে। এই কারণ ইনজংসান প্রার্থনা করিয়া ঐ বাবদে ১১০০০ টাকা ক্ষতিপূরণ জন্য দাবী দিয়াছিল। হাইকোর্ট নিম্ন আদালতের হুকুম রদ করিয়া বিবেচনা করেন যে, ৰাদিগণ যে মকৰ্দমাতে আদালত অবলম্বন করিয়াছিল, সে মকৰ্দমা । তাহারা সাব্যস্ত করিতে পারেন নাই। অতএব হাইকোর্টের বিচারে নিম্ন উভয় আদালতের ডিক্ৰী রদ হইয়াছে। এবং রেস্পণ্ডেণ্টগণ তিন আদালতের খরচার দায়িক হইয়াছে। ৬/শ্যামসুন্দর জিউ জেলে। পর বৎসর অর্থাৎ ৬/শ্যামসুন্দরের মকৰ্দমা রুজুর পরে সন ১২৮৮ সালের ৯ অগ্রহায়ণ ৬৮ রাসযাত্রার দিবস প্রাতঃকালে মঙ্গল আরতির পর মন্দির বন্ধ হইল, তৎক্ষণাৎ একটা দশ দের আন্দাজ ওজনের তালাদ্বারা ৬/রাজেন্দ্রমোহন গোস্বামীও বন্ধ করিলেন। অন্য অন্য অংশী- “ দারগণ কি করেন জেলাকোর্টের হুকুমে তালা খোলাইবার দরখাস্ত । করিলেন। সেই হুকুম বারাসাতে বেলা ৫৷ টা আন্দাজের সময় উপস্থিত হয়, সে সময় হাকিম এজলাস বরখাস্ত করিয়া চেম্বারে ছিলেন। তিনি উপযুক্ত সময় না থাকায় বেলা ৬ টার সময় রাজেন্দ্ৰ মোহনকে চাবি খুলিয়া সেবা করিতে দিবার জন্য অনুরোধ করেন। তাহাতে রাজেন্দ্র স্বীকার না করায় পুলিসের সাহায্যে সন্ধ্যার সময় তালা ভাঙ্গিবার হুকুম দেন। ৬/শ্যামসুন্দরেরও জেল মুক্ত হইল এবং * সেবা পূজার ব্যবস্থা হইল। ইহাই ভক্তবৃন্দের অচলা ভক্তির পরিচয়! :