পাতা:বৈষ্ণবদিগের সাধনা - ক্ষীরোদবিহারী গোস্বামী.pdf/১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কে অধ্যবসায় কহে। অধ্যবসায় বুদ্ধির ধৰ্ম্ম। বুদ্ধির আরও আটটা ধৰ্ম্ম । আছে। ধৰ্ম্ম, জ্ঞান,বৈরাগ্য, ঐশ্বৰ্য অধৰ্ম্ম, অজ্ঞান,অবৈরাগ্যও অনৈশ্বৰ্য্য। অনুসন্ধান্যাত্মিক অন্তঃকরণের বৃত্তিই চিত্ত। পতঞ্জলি প্রথম সূত্রেই। বলিয়াছেন—“যোগশ্চিত্তবৃত্তিনিরোধঃ” । ইহার তাৎপৰ্য্য এই যে, । চিত্তের উৎপাদিকা শক্তি আছে। ইহাতেই ভবিষ্যৎ, দুঃখ উপস্থিত হইবে, এইরূপ জ্ঞান জন্মে। যাহাতে আর চিত্তে কোনকালে কিঞ্চিৎ মাত্র ও দুঃখ না জন্মে তাহাই দুঃখ নিবৃত্তিরূপ পরম পুরুষাৰ্থ। সূক্ষম দুঃখের প্রাগভাবই। প্রকৃত छू8श। दवड8 अनांशऊ “দুঃখের নিবৃত্তিই বিশেষ প্রয়োজনীয়। চিত্রের একাগ্ৰতা হইলেই এই উদ্দেশ্য সিদ্ধ হয়। উপাসনা দ্বারাই চিত্রের একাগ্ৰতা জন্মে। এই কারণেই । উপাসনা মুখ্য প্রয়োজন।Y চিত্তের একাগ্ৰতা ভিন্ন কোন কাৰ্য্যই সিদ্ধ হয় না। চিত্ত শুদ্ধির জন্যই নিত্য, নৈমিত্তিক ও কাম্যকৰ্ম্ম বেদে পুনঃ পুনঃ উক্ত হইয়াছে। চিত্ত শুদ্ধি হইলে আর কৰ্ম্মের . আবশ্যক হয় না। তখন আপনা হইতেই কৰ্ম্মত্যাগ ঘটে। প্ৰসন্নতা, বিপ্লব, বিভ্ৰম, সমুন্নতি, ভোগ, এই সকল তত্ত্ব চিত্তে প্ৰতিবিম্বিত হয়। জ্ঞানের অনুসন্ধান চিত্তের কাৰ্য্য। চিত্তই অনুসন্ধিৎসু । সকল কাৰ্য্যা- ? গুণের অনুসন্ধান চিত্তের দ্বারা সংসাধিত হয়। বিক্ষিপ্তাবস্থা, ক্ষিপ্তবস্থা, মূঢ়াবস্থা, চিত্তে উদ্রেক হইয়া প্ৰকাশ পায়। গুণত্রয়ের দ্বারা। চিত্ত ক্ষোভিত হইলেই যথাক্রমে ঐ সকল অবস্থা ঘটে । সত্ত্বগুণের দ্বারা চিত্তের একাগ্ৰতা নিবন্ধন ষে অবস্থা হয়, তাহাকে নিরুদ্ধ অবস্থা বলে। ইহাই যোগের অনুকূল। প্ৰমাণ, বিপৰ্য্যয়, " বিকল্প, নিদ্রা, ও স্মৃতি এই পাঁচটি চিত্তের বৃত্তি নহে, ইহা চিত্তের ধৰ্ম্ম। ইহা আত্মধৰ্ম্ম নহে। যখন রজোগুণের অত্যন্ত আধিক্য হয়, তখন নিদ্রা জন্মে। সুতরাং ইহা চিত্তের পরিণাম। : যাহার দ্বারা জ্ঞাত হওয়া যায় তাহার নাম চিত্ত। চিত্তবিষয়িণী । বুদ্ধিযুক্ত। যথা-সত্ত্বনামপিলক্ষ্যতে বিকৃতমচ্চিত্তং ভয় ক্ৰোধয়োঃ । ,