পাতা:বৈষ্ণবদিগের সাধনা - ক্ষীরোদবিহারী গোস্বামী.pdf/২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৬ নিত্যানন্দ বংশবিস্ত্রী। । কোন কোন দার্শনিক বলেন ইন্দ্ৰিয় এক ; কেবল বিভিন্ন শক্তি । দ্বারা পরিচালিত হইয়া কাৰ্য্য করে বলিয়া তদনুযায়ী নাম করণ । হইয়াছে। ‘শক্তিভেদাদ্বিলক্ষণকাৰ্য্যকারীতি মত্তম পাকরোভি” ইহাও ভাবগ্রাহীর পক্ষে অযৌক্তিক নহে। কেবল চক্ষু বান্তবিক পক্ষে । দর্শনক্ষম নহে। উপনিষদ বলেন। যচক্ষুষা নপশ্যতি যেন চক্ষুংষি পশ্যন্তি । তেদেব ব্ৰহ্মত্বং বৃদ্ধি নেদং যদিদমুপাসতে ৷ অর্থাৎ চক্ষু দ্বারা দেখা যায় না, চক্ষু যাহার দ্বারা দেখে তিনিই ব্ৰহ্ম জানিবে। যাহা তোমরা উপাসনা করিতেছি, তাহা নহে। ইহা ব্ৰহ্ম প্রকাশক বাক্য হইলেও দর্শন যোগ্য শক্তি দ্বারাই দর্শন ক্রিয়া । হয়। কিন্তু ইন্দ্ৰিয় সকল ভৌতিক পদার্থ না হইলেও, ভৌতিক টুপাদানে গঠিত চক্ষু ভিন্নও ত দর্শন জ্ঞান হয় না ? সুতরাং কেবল দর্শন ৰোগ্য শক্তিকে ইন্দ্ৰিয় বলা কতদূর সঙ্গত তাহা বুঝিতে পারিনা। পঞ্চবিধ সংযোগই চাক্ষুষ প্রত্যক্ষের কারণ। প্রথম বসামাংসাদি দ্বারা । গঠিত চক্ষু। দ্বিতীয় দর্শনযোগ্য শক্তি। তৃতীয় দৃশ্য বস্তু। চতুর্থ আত্মার প্রযত্ন, পঞ্চম মনঃ সন্নিকর্ষ। যে বস্তু আমরা দর্শন করিব সেইরূপ বস্তুর প্রতিকৃতি মনের দ্বারা গঠিত হইলেই দৰ্শন জ্ঞান জন্মে, নচেৎ সমস্তই নিস্ফল হয়। পক্ষান্তরে ঐরাপ সন্নিকর্ষে যদি উৎকর্ষ বা অপকৰ্ষ সঙ্ঘটন হয় তবে, জ্ঞানের ও উৎকৰ্ষ অপকর্ষ হইয়া থাকে । এই কারণ ইন্দ্ৰিয় সাধ্য জ্ঞান ভ্ৰম সন্ধুল। আকাশের কোন বর্ণ না থাকিলেও নীলবৰ্ণ দর্শন হয়। কোন | কোন বৈজ্ঞানিক বলেন, ইহা বায়ুর বর্ণ। বায়ুর মোটা অবস্থায় এই | রং দর্শন হয়। কিন্তু যন্ত্রের দ্বারা অনুমানে এইরূপ দর্শনই ঘটে। যন্ত্রের দ্বারা যে দৃষ্টি হয় তাহা বিকৃত দৃষ্টি তাহার সন্দেহ নাই। ইহা । স্বাভাবিক দৃষ্টি নহে। স্বভাবসিদ্ধ সুস্থাবস্থার কেবল চক্ষুর সাহায্যে | যে দর্শন জ্ঞান জন্মে, তাহাকেই স্বাভাবিক দৃষ্টি বলে ; ইহা ব্যতিরেকে । অস্বাভাবিক দৃষ্টি বলিব। - যতদূর পর্যন্ত নয়নে দৃশ্য বস্তুর ছায়া পতিত ।