পাতা:বৈষ্ণবদিগের সাধনা - ক্ষীরোদবিহারী গোস্বামী.pdf/২৪০

>२० ኸh ' শ্ৰীনিতানন্দ বংশবলী । ) উক্ত শতানন্দের পুত্র খঞ্জ ভগবান ও গোপাল কাশীধামে বেদান্ত অধ্যয়ন করিয়া নীলাচলে শ্ৰীগৌরাঙ্গের শরণা লয়েন। খঞ্জভগবানের পুত্র রঘুনাথ আচাৰ্য মোং খেতরীর মহোৎসবে শ্ৰীজাহ্নবা মাতা গোস্বামিনীর কৃপায় মহান্ত পরিগণিত হইয়া, মহান্ত পৰ্য্যায়ের আসন প্ৰাপ্ত হইয়াছিলেন। এই কারণ বশতঃ ইহারা গুরুস্থানীয় হইয়া বহু নীচজাতি পৰ্যঙ্গ-শিষ্য করিতে আরম্ভ করিলেন। শ্ৰীগৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর শিষ্য অতি বিরল, শ্ৰীনিত্যানন্দ বা অদ্বৈতের নীচ জাতি শিষ্য ছিল না । ইহারা উভয়ে কখন নীচ জাতীয় শিষ্য করেন নাই। তাহারা জাতিভেদ তুচ্ছ করিয়া শ্ৰীগৌরাঙ্গের উপদেশ অনুসারে অকাতরে হরিনাম ও হরিভক্তি প্ৰদান করিতেন; কিন্তু মন্ত্র দিতেন না। এক্ষণে আমাদের ঐরূপ আচার বা শিক্ষা নাই। উদরজ্জ্বালা ও প্রলোভনের বশবৰ্ত্তী হইয়া ঐসকল আচার পরিত্যাগ পূর্বক সকল কাৰ্য্যেই তৎপর হইতে হইয়াছে। শ্ৰীনিত্যানন্দ বংশে চাকুরী বা কৃষি বাণিজ্য ফলপ্ৰদ হয় না। কাজে কাজেই এই সকল হীন বৃত্তি অবলম্বন করিতে বাধ্য হইয়াছি। নচেৎ ক্ষুন্নিবৃত্তির উপায়ান্তর নাই। এই বিষয় সম্বন্ধে আলোচনা প্রয়োজনীয় না হইলেও একটী পুরাতন ইতিহাস স্মরণ হইল, পাঠকবৃন্দ আমাদের পূর্ব পূর্ব আচার ব্যবহারের কিছু নমুনা পাইবেন। পূর্বকালে শ্ৰীঅদ্বৈত প্রভুর অধস্তন পঙ্কম পৰ্য্যায়ে শ্ৰীল সম্ভোৰ গোস্বামী মহাশয় জন্মগ্রহণ করেন। তাহার একমাত্ৰ পুত্ৰ শ্ৰীল কেবল, কৃষ্ণ গোস্বামী প্ৰভু। একদিবস উষাকালে কেবল কৃষ্ণ প্ৰাতঃকৃত্যাদি সমাপন করিতেছিলেন। এমন সময় ধনমদে গবিত এক ख्ळुदांश्च দীক্ষা গ্ৰহণ হেতু কেবলকৃষ্ণকে অনুরোধ করিতে সেই স্থানেই উপস্থিত হইল। মধ্যে মধ্যে এরূপ অনুরোধ করিতেন, কেবলকৃষ্ণ প্ৰভু মূৰ্ত্তিকাশৌচ করিতেছেন, সেই জন্য বিরক্ত হইয়া ঐ তন্তুবায়কে বলিলেন, “হরেকৃষ্ণ” তুই আবার এমন সময় কোথা হইতে আসিয়া আমাকে বিরক্ত করিতে আরম্ভ করিলি ? আমি শূদ্ৰকে শিষ্যত্বে গ্ৰহণ কৰি না, ও করিব না, কেন আমাকে সকল সময় বিরক্ত করা ? এইরূপ বলিয়া তাহাকে প্রত্যাখান করিলে, তন্তুবায় সহাস্য বদনে সাষ্টান্ত