পাতা:বৈষ্ণবদিগের সাধনা - ক্ষীরোদবিহারী গোস্বামী.pdf/২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হয়। দর্শনশাস্ত্রের অবতারণা দ্বারা শাস্ত্রকারগণ সৃষ্টির উপকরণ । শল ও স্বষ্টিকৰ্ত্তার অস্তিত্ব নিরূপণ করিয়াছেন, তাহা বাক্যাড়ম্বর মাত্র। ইহা আমাদের সন্তোষ জনক হয় না, সৃষ্টি স্থিতি ও নাশ প্রত্যহ আমাদের চক্ষের উপর অবাধে ও প্রকাশ্যরূপে সম্পন্ন হইতেছে ; প্রত্যক্ষ করিয়াওঁ বুবিতে বা ধারণা করিতে পারি না। আমরা ইচ্ছা করি যুক্তি বিধায়ক বাক্যাড়ম্বর। ঐ বিষয় জ্ঞাত হইবার উপায়। বেদে পুনঃ পুনঃ উক্ত হইয়াছে। কৰ্ম্মনিষ্ঠজ্ঞানী এই বিষয় সহজেই জানিতে পারেন। কিন্তু ইহা শ্রমসাধ্য ও সংসারনাশক। এই সকল চেষ্টা দ্বারা আমাদের সংসার ও ভোগ একেবারে সমূলে নিৰ্ম্মল হুইয়া যায়। ইহাই আমাদের পক্ষে প্রধান প্ৰতিবন্ধক। সংসারলোভ ত্যাগ করা আমাদের পক্ষে কঠিন সমস্যা। " শাস্ত্রকারগণ ও বেদ সৃষ্টিকৰ্ত্তার যে-রূপ প্ৰদৰ্শন করিয়াছেন, তাহা কৰ্ম্মনিষ্ঠজ্ঞান সাধ্য। ইন্দ্ৰিয় শক্তির বা সামান্য জ্ঞানের বিষয় নহে। ঈশ্বরের ইচ্ছাই সৃষ্টির কারণ । সেই সৃষ্টি বিধায়িনী ইচ্ছা শক্তিই । প্রকৃতিপদবাচ্য। বস্তুতঃ প্রকৃতি ঈশ্বর হইতে অন্য কোন কৰ্ত্তার । প্রমাণ নাই। : কোরাণ ও বাইবেল পরমেশ্বরের ইচ্ছাকেই সৃষ্টির কারণ বলেন। ঈশ্বরের ইচ্ছা হইল, আলোক হউক। তৎক্ষণাৎ অ্যালোক সৃষ্ট হইল এই প্রকার ইচ্ছা শক্তি দ্বারা সপ্তাহ পৰ্য্যন্ত সৃষ্টি শেষ করিয়া অষ্টম দিবসে বিশ্রাম করিলেন। ইসলাম “কুন” বলেন, কুন অর্থে “হউক” , অর্থাৎ ইচ্ছানুরূপ আজ্ঞা মাত্র। “রুহােমেন আমরে রববী” “রু" জীব শক্তি, ঈশ্বরের অনুমতি দ্বারা সৃষ্টি হইল। energy কুদরৎ, জড় শক্তি ও জীব শক্তি সমস্তই তাহার ইচ্ছায় সৃষ্টি হয়। “রহমান । শব্দ সাধারণতঃ দাতা বলে, কিন্তু আরবী ভাষায় ইহার প্রকৃত অর্থ, । প্ৰলয়ান্তে যে মনুষ্যাদির পুনর্বার স্মৃষ্টি করে, তিনিই রহমান। কোরান । , সেরিফের ‘সুরা রহমান” পাঠ করিলেই সমস্ত অবগত হওয়া যায়। ] বেদে ও ঈশ্বরের ইচ্ছাই স্মৃষ্টির কারণ বলিয়া উক্ত হয়। এই | ইচ্ছাকেই দার্শনিকগণ প্রকৃতি নামে অভিহিত করেন। যেমন দরিদ্র ।