পাতা:বৈষ্ণবদিগের সাধনা - ক্ষীরোদবিহারী গোস্বামী.pdf/২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্মৃষ্টি ও ব্রহ্মদ্বৈত। ২৫ । যেহেতু ইহাই স্মৃষ্টির মুলীভূত কারণ। কেহ কেহ পটীয়সী, মােহিনী, । হলাদিনী, মায়া, প্রকৃতি, কারণরূপিণী, শক্তি, নিয়তি, অবিদ্যা, এই | সকল নামের ব্যবহার করেন। এই নিমিত্ত সাধকগণ দেবীকে ইচ্ছা- . ময়ী বলিয়া স্তব করেন। : জীবাত্মা বাজীবু, . চৈতন্যপ্রধান অহংকার-কৰ্ত্তা। ক্রিয়াপ্রধানপ্ৰাণ-কৰ্ম্ম । যাহা । প্রণোদিত তাহাই প্ৰাণ। সুতরাং কৰ্ত্তা ও % কৰ্ম্মে, প্রভেদ নাই। – যাহা কৰ্ম্ম তাঁহাই প্রকৃত পক্ষে জীব। • কৰ্ম্ম, কৰ্ত্তারই ধৰ্ম্ম বিশেষ । আরত কিছুই নহে? অতএব যাহা কৰ্ম্ম তাঁহাই জীব, অর্থাৎ ক্রিয়া। : শক্তি সমাবেশই জীবপদবাচ্য। ক্রিয়া ও চৈতন্য উভয় সম্মিলনে । জীব পদাৰ্থ বলিয়া, জীবের দুই অংশের দুই কাৰ্য্য প্ৰত্যক্ষ হয়। একটি ; জ্ঞান অপরটা ক্রিয়া। জীব ঈশ্বর বা পরব্রহ্ম নহে, জীবের জ্ঞান বা ? ঐশ্বরিক জ্ঞান এক নহে। পরমাত্মা বা ঈশ্বর জ্ঞানবান অন্য সকল । বস্তুই জড়। স্বভাবসিদ্ধ জ্ঞানে পরমাত্মা জ্ঞানবান। চেতনা তাঁহার | সৃষ্ট পদার্থ, ইন্দ্ৰিয়াদি সংযোগ সমবায়ে চেতনা ক্ষণিক জ্ঞানলাভ করে, , তাহাও ভ্ৰমাত্মক। পূর্বে উক্ত হইয়াছে ঈশ্বরে ও জীবে বিশেষ । পার্থক্য আছে। জীব ঈশ্বর, ইহা চিন্তা করিলে ও মহাপাতকগ্ৰস্ত হইতে । হয়। কেহ ইহাও বলেন যে, পূর্বোক্ত বুদ্ধি জ্ঞানেন্দ্ৰিয়ের সহিত । মিলিত হইয়াই আমি সুখী আমি দুঃখী এইরূপ জ্ঞানের কারণ হয়। ] ইহাই পরলোক ইহলোকগামী, ইহাকেই ব্যবহারিকগণ জীববিলে। । এই জ্ঞানেও জীব, ঈশ্বর সাব্যস্ত হয় না। বৈষ্ণব দার্শ নিকগণ জীবকে , , ঈশ্বর জ্ঞান করেন না। জীবের প্রকাশ কল্পনায় সতের অভাষা মাত্র থাকে। কিন্তু জীব ও ঈশ্বর এক নহে। লিঙ্গদেহ, । জ্ঞান ও চিত্তকল্পনাবশতঃ স্থূল শরীরে 'সোহং ভাবে | ভাবিত হয়। বেদান্তিগণ পরব্রহ্মেই জগৎ কল্পনা করেন। . জগতে ব্ৰহ্ম কল্পনা করেন না। যে পদার্থ যাহা হইতে উৎপন্ন, , সে পদাৰ্থ কদাৰ্চ তাহা হইতে ভিন্ন নহে। সাবয়ব পদার্থে আমাদের : এই নিয়ম দৃষ্ট হয়। সুতরাং সৎ হইতে অসতের উৎপত্তি ব্যভিচার :