পাতা:বৈষ্ণবদিগের সাধনা - ক্ষীরোদবিহারী গোস্বামী.pdf/৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাত্র। তাই বলিয়া ঘট কুম্ভকার ; নহে। ঘন্টা কুম্ভকারের তদাত্মপ্রতিযোগিতা আছে। পরমাত্মার কর্তৃত্ব ঔপধিক, আত্মার কর্তৃত্ব । নাই, যদি থাকিত তাহা হইলে ইন্দ্ৰিয় সকল অনাবশ্যক হইত। পর- ; মাত্মার সহিত প্ৰকৃতির সংমিশ্রণে কাৰ্য্য হয় সেই কারণ তাহার কর্তৃত্ব ঔপধিক । আত্মার সহিত’ইন্দ্ৰিয়াদি কোন তত্ত্বই মিশ্রিত হয় না, তবে সংযোগে কাৰ্য্য সকল সম্পন্ন হয়। এই জগৎ প্রপঞ্চ মিথ্যা হইলে, অসুৎ পদার্থই ইহার জনক। পরমাত্মা ইহার কারণ স্বরূপ বিদ্যমান আছেন। কারণে যাহা থাকে কাৰ্য্যে তাঁহাই বৰ্ত্তে ইহা সত্য, - কিন্তু কাৰ্য্যগুণ ও কারণগুণ সমান নহে। যখন মহাপ্ৰলয়ে ব্ৰহ্মাদির ও লয় নিশ্চিত, তখন তাহাদিগের সৃষ্ট এই জগতের কথা আর কি বুঝিব। প্রজাপতি দ্বারা এই জগৎ প্রপঞ্চ সৃষ্টি হইয়াছে ও হইতেছে। সুতরাং স্রষ্টার ও যে, দশা, তৎসৃষ্টজগৎ ও সেই রূপ জানিবে। পরব্রহ্ম সৎ ও বিকার রহিত, তিনি নিত্য সৰ্বশক্তিমান সৰ্বরূপী ও ঈশ্বর। নিত্য বিকার রহিতপদার্থ বিকৃত হইয়া সৃষ্ট বা স্ৰষ্ট হইতে পারে না। ইহা পরব্রহ্ম স্বরূপে জানা । যায়। চেতনা তাহার স্বফ্ট বস্তু, অষ্টাদশ তত্ত্বের সমষ্টিরূপ সূক্ষা শরীর প্রাপ্ত হইয়া, স্থূল শরীরের অনুসন্ধান করে, এবং প্রাপ্ত হইয়া দেহের সহিত সম্বন্ধ করিলেই জীবভাব প্রাপ্তি ঘটে। চেতনার সহিত । জীবভাবের আকর্ষণ স্বভাব সিদ্ধ শক্তি। কিন্তু ঐ রূপ অষ্টাদশ তত্ত্ব । পরমাত্মায় লিপ্ত হইতে পারে না। যে হেতু ইহা আকর্ষণ যোগ্য নহে, বা আকর্ষক নহে। আকর্ষক ইহাকে আকর্ষণ করিতে অক্ষম হয়। যদি পারিত তাহা হইলে আমরা এক একটা জীব এক একটী । ঈশ্বর হইতাম। আমাদের ও জ্ঞান ঈশ্বরের ন্যায়, অবিনশ্বর | ਲ যেমন একখণ্ড চতুষ্কোণ ও সমতল অক্ষোদিত কাষ্ঠ ফলক মধ্যে - কৃত্ৰিম পুত্তলিকার অবস্থান থাকে। ঐ রূপে বিশ্ব প্ৰপঞ্চে ও তাহার | অবস্থান আছে মাত্র। কৃত্ৰিম পুত্তলিকাতে সূত্রধরের কারুকাৰ্য্য যেমন । উদ্বোিধক। সেই প্রকার ঈশ্বরের কারুকাৰ্য্য জীবে উদ্বোধক রূপে ।