পাতা:বৈষ্ণবদিগের সাধনা - ক্ষীরোদবিহারী গোস্বামী.pdf/৩১

বৰ্ত্তমান কুঁহিয়াছে মাত্র । জীব ঈশ্বর বা তদ্বিভাজিক অংশ নহে। এই | জন্য পুনঃ পুনঃ বলিতে হয়, "জীব ভৃত্য, ঈশ্বর প্রভু।” . . কেহ বলেন, যেমন রোগীর রোগ নিবৃত্তি হইলে শরীর সুস্থ হয়। ] সেইরূপ দুঃখময় আত্মার দ্বৈতপ্ৰপঞ্চের উপশম হইলে, দুঃখ নিবৃত্তি । হইয়া আত্মা সুস্থ হয়। কেহ বলেন যেৰ্ণব্ৰহ্মজ্ঞান হইলেই প্ৰপঞ্চের , । নিবৃত্তি হইয়া, একমাত্ৰ ব্ৰহ্মই সত্য বলিয়া প্রতীতি জন্মে। আমার আপত্তি নাই, আশঙ্কা আছে। বস্তুতঃ অনৰ্থক প্ৰলম-বাক্যের ন্যায় “ইহা নাই এই সকল অলীক ইত্যাদি বাক্য উচ্চারণ করিলে, ” বা সাংসারিক মনের দ্বারা চিন্তা করিলে, দৃশ্যবোধরপ ব্যাধির শান্তি হয় না। অধিকন্তু বৃদ্ধি প্রাপ্ত হয়। কেননা ঐ সকল মৌখিক বাক্য মানসিক বিক্ষেপের জনক। তর্কের আতিশয্যে, তীর্থ সেবায়ও নিয়মান্দির অনুষ্ঠানে, এই সত্যাবৎ “প্রতীয়মান জগৎকে তুচ্ছ করা যায় না। যিনি আত্মপরিচিত তিনি জগৎকে উপেক্ষা করিয়া, চলিয়া । যান। বুদ্ধি পূর্বক মনের একাগ্ৰতাই নিশ্চয়াত্মক জ্ঞানের কারণ । । কাল্পনিক বিষয় যদি বুদ্ধি পূর্বক নিশ্চয়াত্মক জ্ঞানে পরিণত হয়, . তবে বুদ্ধির কার্য্যই স্বীকার করিতে হয়। রজ্জ্বতে সৰ্প জ্ঞান ॐ९ মনে দ্বারা হয়। যখন বুদ্ধি পূর্বক আলোচিত হইয়া পুনশ্চ রজ্জ রূপে । পৰ্যবসিত হইল ; সে সময় সেসৰ্প কোথায় গেল ? তাহার কেহ । সন্ধান করে না। সেই সৰ্পের বাসস্থান কোথায় ? সেই স্থলেই জানা । উচিৎ ইহা কাল্পনিক, বুদ্ধি পূর্বক মন পরিচালিত হয় নাই ৰলিয়া, সৰ্পের গ উৎপত্তি হইয়াছিল। এক্ষণে বুদ্ধিপরিচালিত মনের দ্বারা ঐ সৰ্প জ্ঞান । নিবৃত্তি হইয়াছে। সুতরাং মিথ্যা; কিন্তু ঐ মিথ্যা তাৎকালিক সত্য হইয়া । ভীতি উৎপাদন করিয়াছিল। এ স্থলে দেখা যাইতেছে মিথ্যার ক্রিয়া । আছে । এবং ঐ ক্রিয়ার ফল আছে। অলীক বা নিস্ফল নহে।. পর- ; ব্রহ্মে জীব ও জড়ের কল্পনা তদ্রুপই হয়। ] যে বিষয় সতত বুদ্ধি পূর্বক চিন্তা করা যায় তাহা অনায়াসে দৃষ্ট হয় । ইহা সত্যই হউক বা মিথ্যাই হউক। বুদ্ধি নিশ্চয়াত্মিক হইলেও অন্ত্রাপ্ত । নহে। সেই জন্য সত্য ও মিথ্যা সকলের নিকট একরূপ নহে। যে ।