পাতা:বৈষ্ণবদিগের সাধনা - ক্ষীরোদবিহারী গোস্বামী.pdf/৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নিত্যানন্দ বংশবলী । ) R বিষয় আমার নিকট সত্য, হয়ত তোমার নিকট মিথ্যা, ইহা সর্বদাই । হয়। কল্পনা, বুদ্ধিপূর্বক নিশ্চয়াত্মক জ্ঞানে পরিণত হইলেই | সত্য হইয়া উঠে। এবং সত্যাবৎ প্রতীয়মান হয়। পুনশ্চ সন্দেহ । উপস্থিত হয় না এবং বিচারে প্রবৃত্তি জন্মে না। ইহাকেই ব্যক্তিগত সত্য বা মিথ্যা জ্ঞান কহে জীবে ঈশ্বর কল্পনা এইরূপ জ্ঞানের অধীন। সত্য ও মিথ্যা দেশ কাল এবং পাত্ৰাধীন বলিয়া একমাত্র ঈশ্বরকেই সত্য, বলা যায়, অন্য সকল বস্তুই মিথ্যা। বস্তুতঃ প্রত্যক্ষেরই | নামান্তর সত্য, প্রত্যক্ষের প্রকারভেদে সত্যের ও প্রকার ভেদ আনি । বাৰ্য্য। শাস্ত্রকার বলিয়াছেন জীবাত্মাকে কেহ কেহ আশ্চৰ্যাবৎ দর্শন করেন, কেহ বা আশ্চৰ্য্যভাবে বর্ণন করেন, কেহবা আশ্চৰ্য হইয়া উহার তত্ত্ব শ্রবণ করেন, আবার অধিকাংশ লোক এইসকল পৰ্যালোচনা দ্বারা ও কিছুই বুঝিতে পারে না। - , কোন দার্শনিক বলেন-যে যাহার অন্তৰ্যামী হয়, সেই তাহার শরীর বলিয়া • পরিগণিত হয়। ভৌতিক দেহের অন্তর্যামী জীব । বলিয়া এই দেহ তাহার শরীর। সেইরূপ জীবের অন্তৰ্যামী ঈশ্বর সুতরাং জীব ঈশ্বরের শরীর। অন্তর্যামী অর্থে আন্তরিক ভাববেত্তা। সমষ্টি শক্তি যদি ব্যষ্টিভূত হয়, তাহা হইলেই অন্তর্যামী হইতে পারে। এই শক্তি সাধনার বলেও জন্মে, তাহার প্রমাণ বেদান্ত এবং পুরাণদিতে আছে। যে ব্যক্তি এইরূপ সাধনায় সিদ্ধিলাভ করিয়াছেন তিনিই কি ঈশ্বর ? মনোগত ভাব অনেক সময় বুদ্ধি দ্বারা স্থূলতঃ । অবগত হইতে পারে। অতএব এই যুক্তি গ্ৰাহ হইবে কি ? প্রকারে। যদি ইহাই বল, সমষ্টির | অন্তর্যামী ঈশ্বর ভিন্ন হয়না, ঐ শক্তি কোনও জীবে নাই। ইহা স্বীকার করিলেও জীবের শরীর | ঈশ্বর কি প্রকারে হইবেন। অন্যপক্ষে অন্তর মধ্যে যে অবস্থিতি করে জাহাকেই বুঝায় । দেহের অন্তরে সূক্ষ্য শরীরাধিষ্ঠিত আত্মাই বাস করে। “অন্তৰ্যামীশ্বরঃ - সাক্ষাৎ” এরূপ প্রয়োগ কোথাও হয়। সাক্ষাৎ ঈশ্বর অন্ত । র্যামী, সে স্থলে কোন সন্দেহ নাই। ঈশ্বরের শরীর জীব। ইহা ।