পাতা:বৈষ্ণবদিগের সাধনা - ক্ষীরোদবিহারী গোস্বামী.pdf/৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

४० निर्डों নন্দ বংশবলী । ) দুই অধ্যায়ে বহু মন্ত্র দৃষ্ট হয়। বেদের কোন স্থানে কোন মন্ত্রে জীবকে ঈশ্বর বা ঈশ্বরকে জীব বলিয়া বর্ণিত হয় নাই। কোথা। হইতে দার্শনিকগণ • এহু শ্ৰীতি সংগ্ৰহ করিয়াছেন। বিরুদ্ধ মতাবলম্বীর ও শ্রুতি আছে। বেদান্তকারের ত শ্রুতির অভাব হইবেই না। শ্রুতিতে যে, মায়া, অবিদ্যা, নিয়তি, মােহিনী, প্রকৃতি, বাসনা, প্রভৃতির উল্লেখ আছে, এই সমুদায় তদস্য নহে। শ্ৰীভগবানের ইচ্ছাকেই ঐ ‘সকল নাম দিয়াছেন। প্রপঞ্চ অর্থে পঞ্চ cडोडिक । পূৰ্ণপ্রজ্ঞ দর্শন বলেন-জীবেশ্বরভেদ, জড়েশ্বরভেদ, জড়জীবভেদ, জীবগণের পরস্পরভেদ, জড় পদার্থের পরস্পর ভেদ ইহাই প্রপঞ্চ । বোধ হয় ত্রিবৃৎকরণ বা পঞ্চীকরণ প্ৰপঞ্চেরই অর্থ। সদানন্দযাতি বলেন—“ত্রিবৃৎকরণ শ্রীতেঃ পঞ্চীকরণস্যাপুপ লক্ষণাৰ্থত্বাৎ’ অর্থাৎ ত্রিবৃৎ থাকিলেও পঞ্চীকরণ বুঝিতে হইবে। প্রত্যেক ভুতকে দুই খণ্ডে বিভক্ত করিয়া, ইহার এক এক ভাগকে আবার প্রথমোক্ত অপর ভূতের প্রত্যেক অৰ্দ্ধ খণ্ডের সহিত মিশ্রিত ' করিলেই । পঞ্চীকৃত সিদ্ধ হইল। পঞ্চীকৃত অবস্থা এক একটার অৰ্দ্ধাংশ অপর চারি ভূতের দুই আনা করিয়া অৰ্দ্ধাংশ যোগে আকাশাদি এক একটী স্থূল ভূতের উৎপত্তি হয়। এই বিষয় আমাদের সহজ বোধ্য নহে। নিত্য অনিত্য বস্তুর বিবেকও সাধন। দ্বারা “ব্রহ্মৈব নিত্যং বস্তু । ততোহন্যদখিলমনিত্যামিতি বিবেচনং” ব্ৰহ্মজ্ঞান জন্মিলে ব্ৰহ্মই ; সত্য অন্য সমস্তই মিথ্যা এইরূপ সাধকের প্রত্যয় হইতে পারে। কিন্তু । বস্তুতঃ প্ৰপঞ্চের নিবৃত্তি সম্ভব মহে। বস্ত থাপন হেতু সর্পজ্ঞান । হইলেও রজ্জ্বত্বের হানি হয় না। দ্রষ্টার জ্ঞানানুযায়ী দৃশ্য বস্তু । বিপৰ্যন্ত হয় না এবং দ্রষ্টা ও দৃশ্যের সহিত এরূপ কোন সম্বন্ধ নাই। : “তস্তত্বং” এই বাক্যে জীব ঈশ্বরের সেবক এই অর্থই বুঝায়। ] জীব ও ঈশ্বরে অভেদ এরূপ ইহার তাৎপৰ্য্য নহে। ভূত, ইন্দ্ৰিয়, "