পাতা:বৈষ্ণবদিগের সাধনা - ক্ষীরোদবিহারী গোস্বামী.pdf/৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{} হয়। জিজ্ঞাসা করি ? তখন সেই একই আত্মা পরলোকে স্বৰ্গভোগী । না নরক ভোগী, ইহলোকে সে জীবিত না মৃত ঐ কিছুই মুৰ্থদের - মোটবুদ্ধি বুঝে না। আত্মা একই হইলে একের মৃত্যুতে জগৎশুদ্ধ । মরিত ইহা বরং বুঝাযায়ু। যদিবল ভিন্ন ভিন্ন মন বলিয়া এই ভেদ ব্যবস্থা সম্পন্ন হয়। তাহীও কেমন কেমন ? কেন না এককৰ্ত্তা, নানা মনঃসংযোগে নানা উপায়। আমি যখন সুখী অন্যে তখন দুঃখী এ বিপর্যয় যে দেখিতেছি। আমি জীবিত অন্যে মৃত । এই বৈষম্য। হেতু আত্মার অনেকৃত্ব প্রতিপাদিত হইতেছে। আত্মার একত্ব, কল্পনাপ্রসূত ব্যাপার মাত্র। ইহাই সরলব্যাখ্যা । আহঁতগণ জীবের । অনেক ত্ব স্বীকার করেন। ইহারা বলেন জীব ফল ভোগের নিমিত্ত উপায় অনুষ্ঠান করে। উপায় কৰ্ত্তা যে আত্মা, সে যদি ফলভোগ কালে না থাকে, তবে একের ফল ভোগের নিমিত্ত অপরের প্রবৃত্তি কিপ্রকারে হইবে। ইত্যাকার বহুযুক্তি ও প্রমাণ দ্বারা প্ৰতিপন্ন করিয়াছেন। এইমতে জীবের পরিমাণ দেহ সদৃশ। তাহা হইলে গজ পিপীলিকাদি যে যে শরীর প্রাপ্ত হইয়াছে, তাহাকে সেই শরীর পুনঃ পুনঃ মহাপ্ৰলয় কাল পৰ্যন্ত প্রাপ্ত হইতে হইবে। এই অনুমানে । কৰ্ম্মফল নিরর্থক হইয়া পড়ে। অন্য পক্ষে চেতনার জাতি স্বীকার । করিতে হর। পিপীলিকার আত্মা গজশরীরে বা গজাদির আত্মা পিপীলিকা বা পরাবতাদি ক্ষুদ্র পক্ষিদেহে পৰ্যাপ্ত হয় না। বস্তুতঃ চেতনা কোন জীবের শারীরিক সামর্থের কারণ নহে। চেতনা সকল দেহে সমভাবে অতি সূক্ষ্য আকারে বর্তমান রহিয়াছে। সামৰ্থ্য : সমাধান, চেতনার গুণ নহে। জীবদেহ সজীব রাখামাত্র চেতনার | । कांईं बा ७१ । শরীরানুযায়ী খাদ্যবিশেষের দ্বারা শরীরের পুষ্টি । হইলে বলাধান করে। এইজন্য জীববিশেষে খাদ্যের ও বিশেষ । আছে। যে জীবে যেরূপ সামর্থ্যের প্রয়োজন সেইরূপ খাদ্যই তাহার ৭ উপযোগী দন্তাদিও প্রদত্ত হইয়াছে। চেতনা বলবান বা দুর্বল নহে। ] সেইজন্য চেতনার কর্তৃত্ব স্বীকার করেন না। যাহার সঙ্কোচ বিস্তার |