পাতা:বৈষ্ণবদিগের সাধনা - ক্ষীরোদবিহারী গোস্বামী.pdf/৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বা পারদের তদাত্মভাৱে উহ্য থাকে না। ইহা জড় শক্তি দ্বারা সম্পন্ন । হয়, আলোক শক্তিই ইহার প্রধানকারণ। আলুেক বাধা প্রাপ্ত । 可 হইলে প্রকাশ পায় না; দৰ্পণ সাহায্যে বাধাপ্রাপ্ত হয়, " স্বচ্ছ বস্তুতে বাধা প্ৰাপ্তির কারণেই প্ৰতিবিম্ব পড়ে। ঈশ্বর ব্যাপ্তি উপমেয় নহে। উপমার উভয়নিষ্ঠসাদৃশ্যসম্বন্ধ থাকিলে । উপমেয় হয়, নতুবা নহে। “উপ” অর্থে এস্থলে, “অনুগতি” বা “পশ্চাস্তাব”। তর্ক স্থলে তর্কই হয় বুঝা যায় না। বুঝিবার চেষ্টা ও : তর্কে বিস্তর প্রভেদ। তবে এই বিষয় ৰাক্যে বুঝিলেও বুদ্ধির অবিষয়। কৰ্ম্মনিষ্ঠ জ্ঞানই বুঝিবার একমাত্র উপায়। ’ । দেখ—যে দৃষ্ট অর্থ ( সাধৰ্ম্ম্য দ্বারা) অনুভূত অর্থের বোধ হয়, সেই বোধোপকাররূপফলের প্রদানকারী বিষয়কে দৃষ্টান্ত বলে। দৃষ্টান্ত । ব্যতীত অপূর্ব অর্থের বােধ হয় না। সমুদায় দৃষ্টান্ত, কারণ সম্বলিত। কেবল সেই জ্ঞেয় পরমাৰ্থ সত্য পদাৰ্থ কারণ বিহীন ও নিত্য। কেবল ঈশ্বর ব্যতীত সমস্ত উপমান worউপমেয় পদার্থের কাৰ্য্যকারণভাব বিদ্যমান আছে। ঈশ্বর তত্ত্ব বুঝাইবার যে সকল দৃষ্টান্ত প্রদত্ত হয়, " তাহা এই জগতের অন্তভুক্ত হইয়া পড়ে। সুতরাং ত্যাহার দ্বারা পরি স্কাররূপ বােধগম্য হয় না। যখন ঈশ্বর নিরাকার, তখন সাকার দৃষ্টান্ত কি রূপে সঙ্গত হইবে ? তবে কৰ্ম্মনিষ্ঠ জ্ঞান দ্বারা বােধগম্য হয়। ] বস্তুতঃ কাৰ্য্য কারণ ও সহকারিকারণ তাহাতেই আছে ও থাকিবো। : কাৰ্য্য কারণের অভেদ জ্ঞানই মুক্তি। নচেৎ কিছুতেই জ্ঞানলাভ হয় না । श्र्श्व ७ कर्शश्काळ । ফলশালিত্বং কৰ্ম্মত্বং । ঈশ্বরবাণীর উপর সকল সম্প্রদায়ের ধৰ্ম্মের ভিত্তি স্থাপিত। - সকলেই আপন আপন শাস্ত্রকে ঈশ্বর বাক্য বলে। আমাদের বেদ ঈশ্বরের নিশ্বাস হইতে উৎপন্ন। ঈশ্বর বাক্য বলিয়া মনীষিগণ আপন । আপন ধৰ্ম্ম শাস্ত্রানুসারে ঐরাপ আচরণ করিয়া আসিতেছেন। ঐ সকল ।