পাতা:বৈষ্ণবদিগের সাধনা - ক্ষীরোদবিহারী গোস্বামী.pdf/৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৮ শ্ৰীনিতানন্দ বংশবল্পী। . ঈশ্বর বাণী হইলেও পরস্পর বিরোধী। কিন্তু ঈশ্বর এক, ইহা সকল । সম্প্রদায়ের স্বীকৃত বিষয়। ইহার কারণ কি ? . “সাধক” সাধন কৰ্ত্তা, যে সাধন করে। “সাধন” যাহা সাধনার | সহায়, অর্থাৎ করণ কারক । “সাধ্য”যাহা সাধনীয়। “সাধ্যতা”সাধ্য- | নিষ্ঠ ধৰ্ম্ম। এই সমস্তই অবিরোধী। অর্থাৎ সকল সম্প্রদায়ের সমান। : তবে পরস্পর আচার ও ব্যবহার এবং সামাজিক নিয়ম সকল বিরোধী । ইহাই প্রকৃত কথা। . যেমন-কুকি, গারো, হাউলং, বনযোগী, ক্ষমি, মেরুং ইত্যাদি অসভ্য জাতির সহিত বিশেষ বিরোধ দৃষ্ট হইলেও, সত্য, দান, ক্ষমা, অতিথি সৎকার, শরণাগত রক্ষা ইত্যাদি গুণে ইহারা অলঙ্কত। তবে ইহাদের ঈশ্বর বা শাস্ত্ৰ নাই। জিজ্ঞাসা করিলে কেহ বলে যে, আমরা । ঈশ্বর জানি না। তবে । পূর্বদিকে একজন কে আছে, সেই নাকি সৃষ্টি করে। আমাদের শাস্ত্র, সে কলাপাতে লিখিয়া ফেলিয়া দিয়াছিল বটে, গাভী তাহা ভক্ষণ করিয়াছিল। সেই জন্য আমরা অদ্যাবধি আমাদের পর্বদিনে যন্ত্রণা দিয়া বধ করি। কলিতে হিন্দু ব্যতীত সকল জাতিরই গোবধ একটী বিশেষ রোগ ৷ সমাজ ধৰ্ম্ম-দেশ, কাল, পাত্রের অধীন বলিয়াই পরস্পর বিরোধী। শাস্ত্ৰ দ্বিবিধ-বেদ ও ইসলাম। ইহার মধ্যস্থিত। আর এক সম্প্রদায় আছে তাহাকে সাই ও দরবেশ বলে। তাহদের একটা বাক্য আছে। কেয়া হিন্দু কেয়া মুসলমান । মিল জুলকে করা সাইজিক কাম ৷ বেদের প্রতি মন্বাদি ধৰ্ম্মশাস্ত্রবেত্তাগণ যথেষ্ট সম্মান দেখাইয়াছেন, এবং পুনঃ পুনঃ বেদবাক্যের উল্লেখও করিয়াছেন। পূর্বকাল হইতে মহর্ষি ও মনীষিগণ অদ্যাবধি বৈদিক ধৰ্ম্ম যাজন করিয়া আসিতেছেন বলিয়া, বেদ প্রমাণ শাস্ত্র। ' দেখ-ব্রাহ্মণ নিষ্কাম, নিলোভ, অবঞ্চক, ধনাখী নহে। মৰ্যাদাকে । ঘৃণা করে। ব্ৰাহ্মণ ধৰ্ম্মার্থী। ও মােক্ষাথী। ইচ্ছা করিলে ব্ৰাহ্মণ ধন, । ঐশ্বৰ্য্য, মৰ্যাদা গ্ৰহণ করিতে পারিত এখনও পারে। সেই ব্ৰাহ্মণ ।