পাতা:বৈষ্ণবদিগের সাধনা - ক্ষীরোদবিহারী গোস্বামী.pdf/৪৬

, 8२ वैनिडांनम द९भवही। অভিলাষ কিরূপে পূর্ণ হইবে ? আমরা চিন্তা না করিয়া, আপনাকে নিন্দা করিতেছি। এবং আপনি অদৃষ্টকে শতাধিক্কারও দিতেছি। ! স্ত্রী, পুত্র, ধন, বন্ধুবৰ্গ, প্রিয় বিদ্যা, রূপ, সুমিষ্টবাক্য, সুন্দর অট্টালিকা, সুস্বাদু ও পুষ্টিজনক খাদ্য, প্রমোদ উদ্যান, মূল্যৱান যান বাহনাদি, নিরোগী শরীর, যৌবন, রূপবতী ও গুণবতী সহধৰ্ম্মিণী, দীর্ঘায়ু, গুণবান ও একমাত্র পুত্র, এই সমস্তই দৃষ্ট ফল হইলেও, পূর্ব কৰ্ম্ম জন্য অদৃষ্ট লব্ধ। ক্ষণস্থায়ী ও মিথ্যা। ইহা স্থায়ী ও নহে, মৃত্যু সেইকালে একমাত্ৰ ধৰ্ম্মাধৰ্ম্মই বাসনা রূপে সহগামী। মৃত্যু কালে ধৰ্ম্মই মানব জাতীর একমাত্ৰ প্ৰবোধের আশ্রয়। বৈদ্য যেমন রোগ মাত্রের আরোগ্য করিতে অক্ষম, তত্ৰাচ বৈদ্যই রোগীর একমাত্র। সহায় । সকলকে সুখ ও মুক্তিদানে অক্ষম হইলেও, ঐরূপ পরকালের একমাত্র গুরুই আশ্রয় ও প্রকৃষ্ট উপায়। পরকালে যাহার বিশ্বাস নাই, তাহার গুরু ও ঈশ্বরে কোন প্রয়োজন নাই সত্য, কিন্তু ধৰ্ম্মের প্রয়োজন আছে। নচেৎ স্ত্রীপুত্ৰাদির সহিত সংসারে তাহার স্থান নাই। অবিশ্বাসীর পক্ষে ইহজগৎই সর্বস্য। তাহার সর্বকালে সৰ্বকাৰ্য্যের পথ, সর্বদা উন্মুক্ত রহিয়াছে। তাহার ধৰ্ম্মের বা মনুষ্যত্বের প্রকৃত পক্ষে অনাবশ্যক। কেবল ইহকালে আপনাকে রক্ষা করিয়া কাৰ্য্য করিতে পারিলেই পূর্ণত্ব প্রাপ্ত হইল। আত্মরক্ষাই তাহার পরম ধৰ্ম্ম ও শ্ৰেয়ঃ। অবিশ্বাসী কাহাকেও বিশ্বাস করিতে পারেনা। এবং তাঁহাকেও কেহ বিশ্বাস করে না। সর্বদা সর্বত্র সতর্ক হইয়া কাৰ্য্য করাই কৰ্ত্তব্য হইয়া পড়ে। যাহারা পরকাল বিশ্বাসী, তাহদের পদে পদে ব্যাঘাত। তাহারা আত্মরক্ষায় যত্নবান নহেন। স্বাৰ্থ ত্যাগ তাহদের ধৰ্ম্ম। পরকালের জন্য ইহাদের সর্বস্ব প্ৰস্তুৎ । সত্য, দান, ক্ষমা, শীল, অনৃসিংশ অহিংসা, করুণা, উদারতা, সরলীসাধ্যতা, ইহাদের অলঙ্কার স্বরূপ। যদিচ্যু আধার ভেদে এই সকল গুণের নুনাধিক্য হয়। তাহার কাল, - স্বভাব, বিস্মৃতি ও গুণত্রয়ের বৈষম্য মাত্র কারণ। সম্পদ, প্ৰজ্ঞ । সম্পন্ন শৌৰ্য্যশালী ও মহাজ্ঞানী কেও বিমোহিত করে। ,