পাতা:বৈষ্ণবদিগের সাধনা - ক্ষীরোদবিহারী গোস্বামী.pdf/৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুমোদি ষড়রিপু, এবং ইন্দ্ৰিয় সকল, মনুষ্যের মহৎকাৰ্য সাধন । করে। মানবগণ। ইহার অপব্যবহার করিয়া अ কারণ নিন্দা ७ ॥ ঘূণা | করে ‘আমি বা আমার” এই বিজ্ঞান - অহংকার। বিবেচনা ৷ করিয়া দেখিলে বুঝাযায় যে। এই জ্ঞান ব্যতিরেকে মনুষ্য উন্মত্ত । বলিয়া প্ৰতিপন্ন হয় । কামকেই অভিন্ন বলে। কাম পরিত্যক্ত । মনুষ্যইত পাষান। তাহার আবার স্বৰ্গ বা মোক্ষ কি প্রকারে । হইবে ? ক্ৰোধ যদি ত্যাজ্য হয়, তবে কোন বলে নিরপেক্ষ দৃষ্টি ও : শক্ৰক্ষয় করিবে ? কি বাহা কি অন্তৰ সমস্ত রিপুঁই ক্ৰোধ বিহীন । মনুষ্যকে তৃণবণ্ড তুচ্ছকরে। ইন্দ্ৰিয় শিথিল হইলে সমস্ত কাৰ্য্যে । মনুষ্য অনধিকারী হয়। ধন এবং ধৰ্ম্ম ক্রমে ক্রমে ধৰ্ম্মের দ্বারা । সঞ্চয় করিতে হয়। নতুবা শুভফল প্রসব করে না। কেবল ধৰ্ম্ম সঞ্চয়ী ইহকালে বঞ্চিত হয়। কেবল ধন সঞ্চয়ী ব্যক্তি ইহকালে ও পরকালে মহাপাতকী মধ্যে গণ্য। ঐ মহাপাতীর সহবাসেও পাতকী : হইতে হয়, সেই কারণ, দূর হইতে প্ৰত্যাখ্যান করিবে। ইহাদের গ অকৰ্ত্তব্য জগতে কিছুই নাই। ঐ পাতকীর বিষয়ানুরাগ হইতে বিষয় কামনাই জন্মে। কামনা ৷ হইতে ইচ্ছ, ইচ্ছা হইতে তৃষ্ণ পরিবদ্ধিত হয়। ঐ সর্বপাপময়ী । বিষয় তৃষ্ণ প্ৰতি নিয়ত উদ্বেগকারী ও অধৰ্ম্ম বহুলা এবং পাপ। প্ৰসবিনী। দুৰ্ম্মতিগণ দিবারাত্ৰ ৰিষয়ে উন্মত্ত, এবং ঐসকল জল্পনা । কল্পনা দ্বারা জীবন অতিবাহিত করে, কখন শান্তিসুখের মুখাবলোকনে । ও সমর্থ হয় না। দুৰ্ম্মতিগণ ইচ্ছা করিলেও ইহাকে পরিত্যাগ । করিতে পারে না। দিবারাত্ৰ প্ৰজ্জলিত হুতাসনে দগ্ধ হয়, কিন্তু । ইহার আদিও নাই অন্তও নাই। অযোনিজ ঐ তৃষ্ণ অনলের ন্যায় । কাৰ্য্যকারী ও নরকের দ্বার। উভয় কালই ইহার পক্ষে সমান। । কাষ্ঠ যেমন স্বউত্থিত অগ্নিদ্বারা ভস্মীভূত হয়, অকৃতাত্মা ব্যক্তি সহজাত । লোভ দ্বারাই বিনষ্ট হইয়া থাকে। প্রাণিগণ।” মৃত্যুকে যেরূপ । ভয়করে ঐ সকল ধনী, রাজা, চাের, সলীল, অগ্নি, ও স্বজন হইতে । নিরন্তর সেইরূপ ভয় প্রাপ্ত হয়। ঐ রূপ ধনী সর্বত্র আক্রান্ত ।